প্রতিনিধি ২০ জানুয়ারি ২০২১ , ৪:৫০:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধীতা ও মিথ্যা মামলায় কোর্টে প্রেরণ নীলফামারী জেলা কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাহাগিলী ০৮ নং ওয়ার্ডের (হাজী পাড়া) গ্রামের মোঃ সেকেন্দার আলী( ৫৫)এর পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তির দলিল না থাকা সত্তেও অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার সদ চাচাতো ভাই রাসেল আল মামুন রুবেল (৪০), রওশন সরকার জুয়েল( ৩৮), রায়হান সরকার রনি (৩৫), রাকিবুল হাসান রানা (৩২), প্রয়োজনীয় দলিল না থাকা সত্ত্বেও জোর পূর্বক পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির দখল ও (৯৯৯) ফোন করে কোন প্রকার মারামারীর ঘটনা ছাড়াই ষড়যন্র মূলক পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে ১৫১ ধারায় একটি মামলা দিয়ে কোর্টে প্ররণ করেছিল। গত ২০/৮/২০২০ইং তারিখে আনুমানিক বিকেল ৫ ঘটিকার সময় তাদেরকে আমি আমার উঠানে ডেকে উপযুক্ত দলিল দেখাইতে বললে তারা কোন প্রকার প্রয়োজনীয় দলিল দেখাইতে পারে নাই।
সেকেন্দার আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি পাই। কিন্তু, আমার সদ চাচাতো ভাইরা স্বার্থনেশি হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে পৈত্রিক প্রাপ্ত সম্পত্তি ভুয়া মালিকানা দাবি করে জোরপূবক দখল করে আসছে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। বর্ণিত সম্পত্তির তফসিল মৌজা- দক্ষিণ বাহাগিলী , জেএল নং- ২১, দাগ নং- ৩৩৩, হাল দাগ খতিয়ান নং- ১৬০৩,১৬০৪,১৬১৪,৩৪৬৯,৩৫৪১, জমির পরিমান- ১.৫৬ একর। এমত অবস্থায় তারা আমাকে সহ গ্রামের অনেক গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকেও প্রয়োজনীয় দলিল দেখাইতে পারে নাই। এই সম্পত্তির বিষয় গত ০৩/০১/২০২১ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সেখানেও প্রয়োজনীয় দলিল দেখাইতে পারে নাই।
তারা শুধু বাহুবলের দাপট দেখিয়ে বলে ওই জমি তারা কোন দিনও ছাড়বেনা। আমি যদি ওই সম্পত্তির উপর যাই তাহলে আমাকে মারপিট করবে এবং রাস্তাঘাটে দেখা হলে খুন করে লাশ গুম করিবে অন্যথায় মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজত ও আমার পরিবারের কাউকে আস্ত রাখবে না বলে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদ’র ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শ্রী গোপাল চন্দ্রকে একাধিকবার ফোনে কল দিলে রিং হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ করেনি।
বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান দুলু শাহ্ বলেন, আমি যতোটুকু যানি। তারা দু’পক্ষেই চাচাতো- জেটাতো ভাই। দুপক্ষেই থানায় অভিযোগ করেছে। আমাকে মৌখিক ভাবে যানিয়েছে। আগামী সপ্তাহে বসে দুই পক্ষের দলিল দেখে একটা সমাধান করা হবে বল জানায়।
এবিষয়ে জানার জন্য কিশোর কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়ালকে ফোন দিলে তদন্ত কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন স্যার ছুটিতে গেছেন। আগামী সপ্তাহে আসবেন।