• Uncategorized

    পুলিশবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে,পটুয়াখালীর যুগান্তর প্রতিনিধিদের অসত্য সংবাদ প্রচার।।

      প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২০ , ৬:০৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    ডেক্স- প্রতিবেদকঃ

    পটুয়াখালী গোয়েন্দা শাখার এসআই রফিকুল ইসলামকে ফাঁসাতে যুগান্তর প্রতিনিধি জাফর খানঁ ও বিলাসের ধরাবাহিক অপপ্রচারে পুলিশ প্রশাসন নির্বেকার। গত ১০ই অক্টোবর দৈনিক যুগান্তর অনলাইনে প্রকাশিত আটকের নাটক সাজিয়ে ডিবি পুলিশের অর্থ আদায় শীর্ষক শিরোনামে অসত্য মনগড়া কাল্পনিক সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।

    সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ফের মনগড়া কাল্পনিক সংবাদের আবির্ভাব ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর ইং তারিখ যুগান্তরে প্রকাশিত ডিবির এসআইয়ের সাজানো ফাঁদে অটোরিকশাচালক শীর্ষক শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কাল্পনিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

    এব্যাপারে অটোরিকশা চালক কাওসারের বাবা কামাল বলেন, এধরনে কোন ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। তাছাড়া আমার ছেলে কাউসার ও তার মা’ মালেকা বেগম বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। আমিতো ডিবির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি। কে বা কাহারা আমার অগোচরে বাসায় গিয়েছিলো এবং ডিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজাতে ১৫ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় আমার পরিবারকে। আমি তাদেরকে চিনিনা।

    কামাল মসতব্বর এবিষয়ে আরো বলেন, গত রমজানে এধরণের কোন ঘটনা সংগঠিত হয়ে থাকলে তখন যুগান্তর কোথায় ছিলো, তখন কেনো আসেনি তারা। আমি ও আমার পরিবারকে মিথ্যা অপবাদে ফাঁসানো হচ্ছে। যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে আরো দেখা যায়,

    আমার ছেলে কাউসারকে মুক্ত করতে এনজিও’র কাছ থেকে ৩০ হাজার ও প্রতিবেশির কাছ থেকে ধারে ২০ হাজার টাকা সহ ৫০ হাজার টাকা ডিবি’ পুলিশকে দেয়া হয়। কামাল বলেন, সাংবাদিকরা কিভাবে নিশ্চিত হয়েছে, আমি ডিবি পুলিশকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছি। তারা কেনো আমাকে নিয়ে মিথ্যা কথা লিখবে। আমি কি সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এধরণের কোন কথা আমি বলিনি। তাছাড়া আপনারা বিচার করুন রাতের আধারে এনজিও থেকে টাকা পাওয়া যায় কিনা আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই। এবং আমার অটোরিকশা বিক্রি করার কথাও নাকি খবরে লিখেছে। আমার ছেলে কাউসার ও তার মা’ মালেকা দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকায় ডাক্তারসহ ঔষধের খরচ মেটাতে অটোরিকশা বিক্রি করি।

    প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানাযায়, পটুয়াখালী গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে যুগান্তরে প্রকাশিত ডিবি পুলিশের কথিত সোর্স মাসুদ পরিচয়ে যে ব্যক্তিটির নাম সংবাদে উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এধরণের কোন ব্যক্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি অএ এলাকায় ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিটাইপ কলনি সংলগ্ন স্থানীয়রা বলেন, এরা কেমন সাংবাদিক, কামালের মতো হতদরিদ্র পরিবারকে জড়িয়ে অপ-সাংবাদিকতার মানে কি? এমন ঘটনার সঠিক তথ্য যদি সাংবাদিকদের পূর্বে থেকে জানা থাকে তাহলে ঘটনার দিন তারা কেনো সংবাদ প্রচার করেনি। তাদের আসল উদ্দেশ্য কি আমাদের জানানেই। অভিযুক্ত গোয়েন্দা শাখার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৫’ই অক্টো ২০ ইং তারিখ আমার নেতৃত্বে একটি মাদকদ্রব্য অভিজান পরিচালিত হয়।

    অভিযানে পটুয়াখালীর চিহ্নিত একাধিক মাদক মামলার আসামি শুভকে ভালো হবার প্রতিশ্রুতিতে সোর্সের কাজে নিয়োজিত করি। এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় ৭ বোতল ফেনসিডিল সহ একাধিক মামলার আসামি মলিনকে ধরতে সক্ষম হই। ওই অভিযান সফলের কৌশলগত কারণে মলিনকে মাদক সহ ধরতে শুভকে ১২ হাজার টাকা বিকাশ করি। যাতেকরে মাদক ক্রয় বিক্রয়ের সময় আমরা মলিনকে ধরতে পারি। এসআই রফিকুল আরো বলেন, চোরে না মানে ধর্মের কথা। শুভ বিকাশের টাকা ফেরৎ না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। এবং কিছু সাংবাদিকদের সাথে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।।

    পরবর্তীতে আমরা সাংবাদিকদের বুঝাতে সক্ষম হই। শুভ তাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে যুগান্তর পত্রিকার দক্ষিণ প্রতিনিধি বিলাস দাসের শরণাপন্ন হয়। বিলাস দাস মাদক ব্যবসায়ি শুভকে বাঁচাতে যুগান্তর পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি জাফর খান ও যুগান্তর পত্রিকার বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরোর বাইনাম ব্যবহার করে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে কতিপয় সাংবাদিকদের সাথে তার পূর্ব শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে ডিবি পুলিশসহ ওই সকল সাংবাদিকদের জড়িয়ে গত ১০ অক্টোবর ২০ইং তারিখ যুগান্তর অনলাইন পত্রিকায় আটকের নাটক সাজিয়ে ডিবি পুলিশের অর্থ আদায় শীর্ষক শিরোনামে একটি মনগড়া কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে। এতে করে প্রতিপক্ষ সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সাংবাদ প্রচার করে।

    বিলাসের কাল্পনিক সংবাদটি পুলিশ প্রাশসনে দৃষ্টি গোচর হলে জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বরিশালবিভাগীয় রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে প্রেরন করেন। ইতিমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। এর’ই ধারাবাহিকতায় বিলাস কতৃক পূর্বের অসত্য তথ্যযুক্ত সংবাদটি প্রতিষ্ঠিত করতে আরেকটি মনগড়া কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে।

    এব্যপারে পটুয়াখালী গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমরা সঠিক তথ্য না জেনে কোন কাজ করিনা। এসআই রফিকুলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এবং সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে মিনতি থাকবে, সঠিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে তথ্য বহুল সমৃদ্ধ সংবাদ প্রকাশ করবেন। তিনি স্মরন করিয়ে দেন, যে… সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কতৃক গত ১৩ অক্টোবর ২০ ইং তারিখ- স্বঃ মঃ দঃ ১০/২০২০/২০ নং স্মারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ শরীফ মাহমুদ অপুর স্বাক্ষর সম্মেলিত একটি প্রেস রিলিজ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ্য সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার লক্ষ্য করে যে, দেশ ও বিদেশ হতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার প্রতিনিধি, সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সম্পর্কে অসত্য, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর, উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে।

    দেশের অভ্যান্তরিন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এসকল অপপ্রচারকারী ও তাদের সহযোগীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, দেশের অভ্যান্তরিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এসকল অপ্রচারকারী ও অপকর্ম সৃষ্টিকারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে অচিরেই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে এবং দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে।

    সুশীল সমাজ মনেকরে। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান ছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রের শৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অসত্য কাল্পনিক ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে এবং রাষ্ট্র-বিরোধী প্রচারে ভিন্ন মতাদর্শের গুপ্তচর সাংবাদিকদের অচিরেই আইনের আওতায় আনা উচিত। পটুয়াখালী গোয়েন্দা শাখার এসআই রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের সত্যতা উৎপাটনে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায় পটুয়াখালী যুগান্তর প্রতিনিধি বিলাস দাস মাদক ব্যবসায়িকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ করছে গোটা পুলিশ বাহিনীকে।পরবর্তী সংখ্যায় আমাদের  সাথেই  থাকুন। শেয়ার করুন

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ