প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৯:২২:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
শিহাব আহম্মেদ-স্টাফ রিপোর্টার:
আধুনিক পদ্ধতিতে মৌবাক্সে পালিত মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে বহু মানুষের। গুণগত মান ভালো হওয়ায় মিলছে ভালো দাম। দেশের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত মধু বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।পাবনা জেলার প্রতিটি উপজেলার কৃষি জমিগুলোতে এখন শুধুই সরিষা ফুলের সমারোহ। দিগন্তজুড়ে শুধুই সরিষা ফুল। এসব জমির পাশেই বাক্স বসিয়েছেন মৌচাষীরা। এতে একদিকে মৌমাছির মাধ্যমে সরিষা ফুলের পরাগায়নের সহায়তায় সরিষার উৎপাদন বাড়ছে।
পাবনায় সরিষা ক্ষেতে মধু চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের।
চাটমোহরের চলনবিলসহ ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর ও সদর উপজেলার সবখানেই চলছে মধু সংগ্রহের উৎসব। এক মৌচাষি জানান, তার ১২৪টি বাক্স রয়েছে এবং এ বছরে ফলন খুব ভালো হচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে আসছে সাধারণ মানুষ। তারা জানান, দামে কম এবং খেতে খুব সুস্বাদু বলেই এখান থেকে মধু ক্রয় করছেন। এবং এখান থেকে দেখেশুনে ভেজালমুক্ত খাঁটি মধু নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।এদিকে, ফলন বাড়ায় খুশি সরিষা চাষীরাও। স্থানীয় ক্রেতার পাশাপাশি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।
কৃষি বিভাগের ৭০ জন তালিকাভুক্ত খামারিসহ প্রায় শতাধিক মৌ খামারি মধু সংগ্রহের কাজ করছেনকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, এবার প্রায় ৫,৮৭৫ হেক্টর জমিতে মৌ চাষীরা মৌ চাষ করেছে। এবং মধু আহরণের জন্য প্রায় ৬৮ থেকে ৭০ জনের বেশি শ্রমিক এখানে নিয়োজিত রয়েছে। আশাকরি এ মাসের মধ্যেই তারা মধু সংগ্রহ করবে।চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষা ক্ষেতে বসানো ৫,৮৭৫টি মৌবাক্স থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৩ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করেছেন চাষীরা