• Uncategorized

    পাবনার সাঁথিয়ায় হত্যা মামলা সিআইডির গণ গ্রেফতার বাণিজ্য এলাকাবাসী ঘর ছাড়া লুটপাট অব্যাহত।  

      প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২০ , ১:০৪:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোবারক বিশ্বাস-নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ

    পাবনা সাঁথিয়ার পৌর আমোষ গ্রামে এনামুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থ্যা সিআইডি’র গণ গ্রেফতার ও বাণিজ্য’র অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রেফতারের ভয়ে মুল আসামীসহ ও তার পুরুষ  আত্বিয় স্বজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

    এদিকে এলাকায় পুরুষ না থাকায় হত্যা মামলার বাদীসহ স্থানীয় কতিপয় দালাল ও টাউটদের বিরুদ্ধে বাড়ি ঘর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণ গ্রেফতারের ভয়ে ভীত একাধিক গ্রামবাসী জানান, গত ১ আগষ্ট কোরবানীর ঈদের দিন কোরবানির সমাজ বিভক্ত নিয়ে স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে মারামরি হয়।

    এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ৬/৭জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে উভয় পক্ষের ৪জন সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে ভর্তি হয়। গুরত্বর আহতরা হলেন,  সাঁথিয়া আমোষ গ্রামের তফিজ সেখের ছেলে আকরাম ও তার ভাই এনামুল এবং অপরপক্ষ মৃত টালোক শেখের ছেলে বাবুল ও সমশের সেখের ছেলে আনারুল। গুরত্বর আহত এনামুলসহ ৪জনকে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

    পাবনা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এনামুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১১ আগষ্ট বিকালে মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় আহত এনামুলের ভাই কামরুল ইসলাম  বিগত ১১ আগষ্ট সকালে সাঁথিয়া থানায় ১০ জনের নাম উল্ল্যেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী উল্ল্যেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৩ তাং-১১-০৮-২০২০ইং।

    মামলা দায়েরের দিন বিকালে এনামুল মারা যায়। এনামুল মারা যাবার পর এনামুলের আত্বিয় স্বজনসহ ্স্থানীয় একটি দুষ্ট চক্র আসামীসহ তাদের আত্বিয় স্বজনদের বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালায়। এসময় স্থানীয় আব্দুল জব্বারের ছেলে হিরুর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। মৃত্যুর পর বাদী পক্ষসহ স্থানীয়রা আসামী ও তাদের আত্বিয় স্বজনসহ প্রতিপক্ষের নামে মামলা হামলাসহ ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।

    এরপর মামলাটি সিআইডিতে চলে গেলে অব্যাহত পুলিশি অভিযানে এলাকা পুরুষ শুন্য হয়ে গেলে  চলতে থাাকে লুটপাট। সেখানে ২০/২৫টি বাড়ি ও ২টি দোকানে ব্যাপক লুটপাট করা হয়। সিআইডি মামলা তদন্তকালে স্থানীয় কালাম মাষ্টারকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এআই মাসুদ আটক করে সিআইডি অফিসে নিয়ে আসেন।

    সেখানে লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে একদিন পর কালাম মাষ্টারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর এসআই মাসুদ বাদীর সাথে লিয়াজো করে আসামীসহ তাদের আত্বিয় স্বজনকে গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখাতে থাকে ও আসামী ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আসামী ও তার স্বজনরা সিআইডির অভিযানে ভীত হয়ে পুরুষরা নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।

    এরপর গত ১৮ তারিখে নাম উল্ল্যেখিত ১০জন আসামীর মধ্যে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ৭জনের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে সিআইডির অব্যাহত অভিযানের মুখে বাদী পক্ষ লুটপাট হালাল ও হত্যাকান্ডটিকে বাণিজ্যে রুপদান করতে পুলিশকে একের পর এক প্রতিপক্ষ বিভিন্ন ব্যাক্তির নাম জমা দিতে থাকে।

    একটি সুত্র জানায় এজাহার নামীয় আসামী ছাড়াও আরো ৪৫ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয় সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তার কাছে। এরই ধারাবহিকতায় বাদী পক্ষ গত শুক্রবার রাতে সাঁথিয়ার পুর্ব ভবানীপুরে শশুর বাড়িতে অবস্থানরত আয়েজ শেখের ছেলে রেজাউলকে ধরে মারপিট করে সিআইডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুদের কাছে তুলে দেন।

    এসআই মাসুদ রেজাউলকে পাবনা সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এসআই মাসুদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বাদী পক্ষ না আমরা অভিযান চালিয়ে রেজাউলকে গ্রেফতার করেছি। রেজাউল এজাহার ভুক্ত আসামী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন।

    এজাহারের বাইরেও আসামী থাকে। এটার জবাব তো আমি আপনাকে দিতে পারি না। মামলার তদন্তের স্বার্থে যাকে ইচ্ছা তাকে গ্রেফতার করতে পারি। রেজাউলকে যেখান থেকে আটক করা হয়েছে, সেই পুর্ব ভবানীপুরের বাসিন্দা শাকিল জানান, রাত ১০/১১টার দিকে ১০/১২জন ব্যাক্তি বাড়ির চারদিকে ঘিরে ফেলে।

    তারপর রেজাউলকে ধরে টেনে হিচড়ে মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে ৩/৪জন ব্যাক্তি নিজেদেরকে সিআইডি পুলিশ পরিচয় দিয়ে রেজাউলকে নিয়ে চলে যায়। সাথে থাকা ৮/১০জন সিএনজি নিয়ে চলে যায়। সিআইডির ওসি আব্দুর রাজ্জাকের মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আমি সাক্ষি দেওয়ার জন্য পাবনার বাইরে আছি। তার কাছে রেজাউল  গ্রেফতারের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,।

    সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা স্বাধীন। তারা আমাকে না জানিয়েও অভিযানে যেতে পারে। গ্রেফতার বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাবনায় এসে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। সিআইডির গ্রেফতার বাণিজ্যের ভয়ে স্থানীয় বেশিরভাগ পুরুষ এলাকা ছেড়ে অন্যাত্র আশ্রয় নিয়েছে। এ সুযোগে কতিপয় ব্যাক্তি মহিলাদের জিম্মি করে বাড়ি ঘর লুটপাট করে চলেছে।

    এলাকাবাসী গণ গ্রেফতার ও লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পাবনার পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানান। আরো জানা যায়, ঘটনার দিন অপরপক্ষের আহতরা বাদী হয়ে পাবনার আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

    মোঃ মোবারক বিশ্বাস

    মোবাইল নং- ০১৯১১-৮৮৮৮৯২, ০১৭১২-০২৬৫৩৯

    ঊ-সধরষ : সনরংধিংঢ়ন@মসধরষ.পড়স

    তাং-২৪-১০-২০২০ইং

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ