প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২২ , ৬:৩৮:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ওয়ালিদ হাসান আরমান-সহ সাহিত্য সম্পাদক:
আগামী ১৩ই মার্চ (রবিবার) গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন সকলের প্রিয় ও আস্থাভাজন ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,সৎ,যোগ্য ও ত্যাগী জননেতা শেখ শামসুজ্জোহা আহমেদ হিটু। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে রয়েছে বেশ চমকপ্রদ ইতিহাস।বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন তার পিতামহ।১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তার পিতা ও পিতামহ ৬ নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দেশকে স্বাধীন করেন।পূর্বপুরুষের এই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনিও শুরু করেন ছাত্র রাজনীতি।
এরপর তিনি ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ্য কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন।রাজনীতির শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন মিছিল,সমাবেশ ও ১৩-১৪ সালের অসহযোগ আন্দোলন এবং আওয়ামী লীগ ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচীতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দলকে নিরলসভাবে সুসংগঠিত করতে নৌকার দক্ষ নাবিক হিসেবে কাজ করেছেন। তারপর ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পলাশবাড়ী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৯৫ সালে সভাপতি নিযুক্ত হোন।এরপর ১৯৯৮ সালে পলাশবাড়ী আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক নিযুক্ত হোন। বর্তমানে তিনি সাব-রেজিস্টার অফিসে একজন সরকারি কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি অসংখ্য মেধাবী ছাত্রকে ছাত্রলীগের সৎ ও একনিষ্ঠ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তুলেছেন।তাদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে থানা,জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সোনার সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে এবং জাতির জনকের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের একজন যোগ্য ,নির্ভিক ও পলাশবাড়ী আওয়ামী লীগের উন্নয়ন এবং সচ্ছ রাজনীতির কান্ডারি হিসেবে তার বিকল্প কোন নেতা নেই বলে দাবী করেন জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের শত শত কর্মী এবং সাধারণ জনগণ।
তার বিরুদ্ধে কোন উল্লেখযোগ্য অভিযোগ না থাকায় পলাশবাড়ীর হাজারো জনগনের দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সৎ,কর্মী বান্ধব মেধাবী নেতা খুঁজছেন তাতে শেখ শামসুজ্জোহা আহমেদ হিটু শতভাগ দাবীদার। দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমি এই প্রাণ প্রিয় আওয়ামী লীগ করার কারণে বিরোধীদলীয় কর্মীদের দ্বারা একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছি।এমনকি ৫ ই জানুয়ারী নির্বাচনের সময় আমাকে কিছু করতে না পারায় আমার পরিবার ও বাড়িঘরে গিয়ে ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ চালায় বিরোধীদলীয় অপশক্তি ।
এতে আমি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইনি।দলের সুসময়ে পাশে ছিলাম ক্রান্তিলগ্নেও থেকেছি এবং শেষ নিঃশ্বাস অবধি মুজিবের আদর্শ বুঁকে ধারণ করে পাশে থাকবো।তিনি আরো বলেন আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষণা করে গণমাধ্যম কর্মীদের ও জেলার নেতাদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রধানমন্ত্রীর সাহায্যে সহযোগিতা কামনা করছি।