সাগর আহম্মেদ-গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
স্কুল কলেজে আগত শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাকি দিয়ে ঘুড়তে আসে এই শিক্ষা পার্কে। পার্কের ভিতর ঝোপ ঝারের মধ্যে বসতে হলে প্রতি ঘন্টায় গুনতে হয় ৫শ টাকা।এই টাকা জমা হয় মিন্টুর হাতে। আবার মিন্টু ওই কপোত কপোতির অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ধারন করে শুরু করে ব্লাক মেইল।এরপর মিন্টুর হাত বদল হয়ে কপোত কপোতি চলে যায় মিন্টু বাহিনীর অন্যান্য সদস্যের হাতে। এরপর মিন্টু ৩য় পক্ষের লোক হয়ে উভয় পরিবারের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করে থাকেন।
এই পার্কে কোন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী নয় এই মিন্টু।প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করলেও পায় না কোন বেতন ভাতা।তবুও বেতন ভাতা ছাড়াই চলে মিন্টুর জীবন জীবিকা।কি দায়িত্ব পালন করে মিন্টু জানতে চাইলে বলেন ড্রীমল্যান্ড কর্তৃপক্ষ কোন দায়িত্ব আমাকে দেয় নি! আমি নিজ উদ্যোগে এলাকার মানুষ হিসেবে এই পার্ক দেখাশোনা করি।
আমার একটা দায়িত্ব আছে না? এলাকাবাসী জানান তথাকথিত মিন্টু বাহিনীর অত্যাচার এত ভয়ংকর রুপ ধারন করেছে, যে বাবা মেয়েকে নিয়ে এই পার্কে বেড়াতে আসলে ব্লাক মেইলের স্বীকার হতে হয় মিন্টু বাহিনীর হাতে।
সম্প্রতি নারী ঘটিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিন্টু বাহিনীর হাতে আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু পথযাত্রী হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক কিশোর। ড্রীমল্যান্ড এডুকেশন পার্কের অসামাজিক কার্যকলাপের কথা স্বীকার করে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ বলেন এই সিন্ডিকেটের কাছে সবাই জিম্মি। ড্রীমল্যান্ডের সার্বিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সিন্ডিকেটের এই হোতাদের আইনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.