প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২২ , ৩:০৪:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয় স্বাধীনতার ৫১ বছরে সব দল ও সামাজিক সংগঠনকে ইসলামের পক্ষে সম্পৃক্ত করার গুরুদায়িত্ব ওলামায়ে কেরামকে পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। তিনি বলেছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইসলামের নাম-নিশানা মুছে দিতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। দুর্নীতিবাজদের বর্জন করে রাষ্ট্রে আলেম সমাজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক মূল্যবোধকে ইসলামের আলোকে সাজিয়ে তোলাসহ আলেমদের ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে হিংসা-বিদ্বেষ ও পরশ্রীকাতরতা পরিহার করে উত্তম আখলাকের মাধ্যমে সবাইকে কাছে টানতে হবে। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সবধরনের জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত। শিক্ষামন্ত্রী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ২০২৩ সালে পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা বাতিলের প্রস্তাবের মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের চক্রান্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষের মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। সিলেবাসে ডারউইনের মতবাদ শিক্ষা দিয়ে আমাদের প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর চক্রান্ত চলছে।
আজ বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পেশাজীবী সংগঠন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে উকিলপাড়াস্থ পালকি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ওলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বিপী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতী আব্দুল হাকি আদদিফায়ীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দেওভোগ মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আবু তাহের জেহাদী, কাশিপুর মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুস সবুর কাসেমী, মুফতী আব্দুল আজিজ কাসেমী, মাওলানা দীন ইসলাম, মু. জাহাঙ্গীর কবির, মাওলানা মহিউদ্দিন খানসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ যখন বেকারত্বের কষাঘাতে নিদারুণ জীবন কাটাচ্ছে, তখন লাখ লাখ ভারতীয়কে এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বাংলাদেশে চাকুরী দিয়ে রেখেছে। কারণ তারা মনে করে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের আশীর্বাদ লাগবে। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।
আল্লামা মুফতী ওমর ফারুক সন্দ্বিপী বলেন, ইসলামের দুর্দিনে ওলামাদেরকে প্রতিবাদ না করলে আল্লাহর দরবারে জবাব দিতে হবে। যারা এখনো কে বড়, কে ছোট এ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন, তারা হযরত সাহাবায়ে কেরামের ইতিহাস জানেন না।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ওলামাদের একত্রিত করে দেশে ওলামাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালনের জন্য এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রাসূল সা. রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, কাজেই আমাদেরও নবী সা.-এর ওয়ারিস হিসেবে রাজনীতির ময়দানে এসে ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কোথাও ইসলামপন্থিদের প্রভাব নেই। সকলক্ষেত্রে প্রভাব সৃষ্টি করার দায়িত্ব্ব আলেমদের। আলেমদের নেতৃত্ব ছাড়া ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
কর্মসূচি : পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সার্বভৌমত্ব বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর।