শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ খলেয়া খাপড়ীখাল স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে প্রায় পুরুষ ও মহিলা সহ ২৫০ জন ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে আসা কয়েকজন এলাকাবাসী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ”পথের সাথী সংগঠন” এটি খুব ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে। যার ফলে আমরা অনেকে ব্লাড গ্রুপ জানতে পেরেছি। পাশাপাশি আমাদের পরিবার কিংবা আমাদের কোনো আত্মীয়-স্বজনের জন্য রক্ত লাগলে আমরা রক্ত দিতে পারবো।”
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খাপড়ীখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব মাহমুদ হক (মধু) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জনাব মোঃ বাবলু মিয়া,সাবেক মেম্বার ১নং ওয়ার্ড বেতগাড়ী সংগঠনের উপদেষ্টা জনাব মোঃ ফিরোজ কবির (দুদু) বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী
অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবিদার। আজ তারা এই এলাকার তরুণদের সামনে এক বড় উদাহরণ সৃষ্টি করে গেল। এমন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আরো সৃষ্টি হলে এলাকার মানুষ আরো বেশী উপকৃত হবে।
তাদেরকে অনুসরণ করে ভবিষ্যতেও তরণরা এমন মহৎ উদ্যোগ আরও বেশি বেশি গ্রহন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান মোঃ তারিকুজ্জামান ত্বোহা, সহ-প্রতিষ্ঠাতাঃ মোঃ রোকন মিয়া,সভাপতি মোঃ রহমতুল্লাহ বাবু সহ-সভাপতি পারভেজ আহমেদ পাপ্পু, সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম জিহাদি ,সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির মিয়া , সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সম্রাট মিয়া , সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফিতর বাবু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কাইয়ুম , ক্রিড়া সম্পাদক সাগর , কার্যনির্বাহী সদস্যসহ প্রমুখ অনেকেই।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো এতিম দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, যেখানে ব্লাড টেস্ট করতে ৫০ টাকা লাগবে আমরা সেখানে বিনামূল্যে করাচ্ছি। এভাবেই আমরা মানুষকে ভালোবেসে এগিয়ে যেতে চাই, এই কথা বলে তিনি সংগঠনের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
রক্তদানের উপকারিতাঃ
১. রক্তদানের প্রথম এবং প্রধান কারণ,একজনের দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাবে।
২. রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয় এবং রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকার জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য রক্তদান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
৩. নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৪. আরেক গবেষণায় দেখা যায়, যারা বছরে দুই বার রক্ত দেয়, অন্যদের তুলনায় তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পরিলক্ষিত হয়েছে। চার বছর ধরে ১২০০ লোকের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছিলো।
৫. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা তা বিনা খরচে জানা যায়। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।
৬. প্রতি পাইন্ট (এক গ্যালনের আট ভাগের এক ভাগ) রক্ত দিলে ৬৫০ ক্যালরি করে শক্তি খরচ হয়। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
৭. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.