প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২৩ , ১২:০৫:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ শাহ আলম-ক্রাইম রিপোর্টার:
“পুলিশই জনতা ও জনতাই পুলিশ” এ মূলমন্ত্রের ভিত্তিতেই কমিউনিটি পুলিশিং কার্য্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ এবং জনগণ এই দেশের মালিক। সুতরাং জনগণকে সাথে নিয়ে অপরাধ নির্মূলে ভূমিকা রাখা জরুরী। কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে অপরাধ সমস্যা সমাধানে পুলিশ ও জনগণের যৌথ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার একটি নতুন পুলিশিং দর্শন । এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁ জেলার সুযোগ্য এসপি মহোদয় রাশিদুল হক পত্নীতলা থানায় সারাদিন কর্মব্যস্ততার মধ্যে পার করেন। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার সময় মধইল বাজার বটতলায় জনাকীর্ণ এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা বিষয়ে এবং অপরাধ নির্মূলে এর অবদান বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পত্নীতলা ধামর হাট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্কেল অফিসার আব্দুল মোমিন পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশচন্দ্র দেব এবং পত্নীতলা থানার সকল পুলিশ সদস্যবৃন্দ সেই সাথে উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন মুক্তিযোদ্ধা আদিবাসী নেতা, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহাত এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা সহ সমাজের সকল শ্রেণী পেশার জনগণ। সমাজের বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ প্রতিরোধ ও জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্য্যক্রম পরিচালিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল মাদক বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তোলা। কমিউনিটি পুলিশিং মূলত একটি প্রতিরোধমূলক পুলিশি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় অপরাধের কারণগুলো অনুসন্ধান করে সেগুলো দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । অপরাধের কারণগুলো দূর করা যেহেতু পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয় তাই এই কাজে অন্যান্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়। কমিউনিটি পুলিশিং এর যাবতীয় কর্মকাণ্ড অপরাধ প্রতিরোধ তথা অপরাধ যাতে ঘটতে না পারে সেই লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পুলিশ জনগণকে নিজ নিজ এলাকার অপরাধগুলো প্রতিরোধ করতে পারে তার জন্য আইনী পরামর্শ দেওয়া।
অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করা, অপরাধকর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বা পরামর্শ দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২/৪৩ ধারার ভিত্তিতেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর আগে পুলিশ প্রধান সকাল সাড়ে ১১ টায় পত্নীতলা থানা চত্বরে ফুটবল ও ক্রিকেট গ্রাউন্ড পরিদর্শন সহ বেলুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন এক সময় পুলিশ প্রধান নিজেই ব্যাট হাতে নেমে পড়েন ক্রিজে এবং পত্নীতলা থানা সকল সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ছয় বলে(প্রতি ওভার) কেউ বোল্ড করতে পারলে তার জন্য এক হাজার টাকা বোনাস পরপর নয় জন বোলার তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে।
গেলেও পুলিশ প্রধানকে আউট করতে পারেননি। যদিও পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর আলামিন কিছুটা হলেও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন কিন্তু অন্যান্য বলার তা কিছুই করতে পারেননি। এতে প্রমাণ হয় যে পুলিশ প্রধান একজন ক্রিকেট ভক্ত এবং খেলোয়াড়। পুলিশ প্রধানের ব্যাটিং দেখে কখনো মনে হয়নি যে তিনি একজন অপেশাদার খেলোয়াড় তার ব্যাটিং শৈলী দেখে পেশাদার খেলোয়াড় বলেই মনে হয়েছে উপস্থিত পুলিশ সদস্য অফিসার ইনচার্জ সার্কেল অফিসার এসপি মহোদয়ের ব্যাটিং দেখে করতালিতে তাকে অভিনন্দন জানান।