প্রতিনিধি ২০ এপ্রিল ২০২১ , ৩:২২:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
শাকিল হোসেন পত্নীতলা নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর পত্নীতলায় গত ৪ বছর ধরে স্থানীয় হাট-বাজার উন্নয়নের জন্য ইজারার শতকরা ২৫ ভাগ টাকা অলস পড়ে থাকার খবর পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয় না হওয়ায় স্থানীয় হাট-বাজারগুলোর শোভাবর্ধন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় হাটের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। আর এ কারণে বিলীন হওয়ায় পথে কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী স্থানীয় হাট। ৪ বছর ধরে হাট-বাজার উন্নয়নের টাকা অলস পড়ে থাকলেও এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাথাব্যথা।সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাটগুলোর সংস্কার না থাকায় বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ শিবপুর হাটের শেডগুলোর উপরের ছাউনি ভেঙে গেলেও তা দীর্ঘদিন মেরামত করা হয়নি। এ কারণে দোকানিরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না। গগনপুর হাট, পত্নীতলা হাট, আমবাটি মোড়ের হাটসহ আরো কয়েকটি ছোট হাটের কোন শেড নির্মাণ করা হয়নি। নজিপুর নতুন হাটের জায়গাগুলো অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় হাটের জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এলাকায় বৃহত্তর মধইল হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য শোভাবর্ধনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। জানা গেছে, স্থানীয় হাট-বাজার ইজারাকৃত আয়ের শতকরা ৭৫ ভাগ উপজেলা রাজস্ব তহবিল, ইউপি রাজস্ব তহবিল, মুক্তিযোদ্ধা, ভূমি রাজস্ব বাবদ ব্যয় এবং অবশিষ্ট শতকরা ২৫ ভাগ এর মধ্যে ১৫ ভাগ সংশ্লিষ্ট হাটের উন্নয়ন এবং শতকরা ১০ ভাগ উপজেলার অন্তর্গত অনুন্নত হাটের উন্নয়নের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী পত্নীতলা উপজেলায় ছোট-বড় মিলে মোট ৩৪টি হাট-বাজার রয়েছে। এসব হাট-বাজার হতে ১৪২৩-১৪২৭ এই ৪ বছরে ইজারালব্ধ আয় হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ১ শত ৭৪ টাকা। সে হিসাবে হাট-বাজার উন্নয়নের শতকরা ২৫ ভাগ প্রায় ৫৪ লাখ টাকা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, উপজেলা বৃহত্তর মধইল হাটের উন্নয়ন প্রয়োজন। হাটের ইজারালব্ধ আয়ের যে অর্থ জমা রয়েছে সে অর্থ দিয়েই হাটের উন্নয়ন সম্ভব। সমস্যা হল সদিচ্ছার। আমরা আশা করছি অতিদ্রুত হাটের উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নেবে। মাটিন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রুবেল জানান, সরকারি বরাদ্দ না পওয়ায় কয়েক বছর ধরে শিবপুর হাটের কোন উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। হাটের শেড, টয়লেট নষ্ট হয়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে হাটটি ঠিকমতো ইজারা হয়না। হাটের উন্নয়নের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি। গগণপুর হাটের ইজারাদার আব্দুল্লাহ আল-মাসুম জানান, এই হাটে কোনো শেড নেই। নতুন শেড নির্মাণ করা হোক।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন সরকার জানান, ইজারালব্ধ আয়ের জমাকৃত অর্থ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজারগুলোর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গাফ্ফার জানান, অতিদ্রুত উপজেলার সব হাট-বাজার উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে।