প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২২ , ৭:১৫:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ শাহ আলম-ক্রাইম রিপোর্টার:
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলাধীন কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি মাজার এর আজব কাহিনী। যেখানে যেকোন রান্নায় পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ ব্যবহার করেও লবণের স্বাদ পাওয়া যায় না। সেসময় হতেই উক্ত মাজারের নাম আল্যা পীরের মাজার বলে পরিচিত। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে বহু নর-নারী এখানে এসে তাদের চাওয়া-পাওয়া মানত করে উপকার পান বলে জানান।
পত্নীতলা থানার শেষ সীমান্ত এবং সাপাহার উপজেলার শুরু সরাই ডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজীবর রহমানের মেজো ছেলে মাহবুব জামান এর বিয়ের ৯বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও তারা কোনো সন্তানের মুখ দেখতে না পেরে লোকমুখে শুনে উক্ত মাজারে এসে মানত করে তার স্ত্রী সেলিনা বর্তমানে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। (উক্ত ব্যক্তিদের নাম ছদ্মনাম প্রকাশ করা হয়েছে তাদের সমস্যা জনিত কারণে মূল নাম দেওয়া সম্ভব নয়)। দেশ স্বাধীনের পূর্বে পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের লোকজন যখন অবাধে যাতায়াত করতো।
সেই সময়ে পশ্চিম পাকিস্তান ইরাকের কান্দাহার সম্ভবত কোন অঞ্চল হতে হযরত খাজা আল্যা উদ্দিন হাসান চিশতী কান্দাহার নামে এক ব্যক্তি পত্নীতলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মিরাপুর গ্রামে একটি আস্তানা নির্মাণ করেন বলে জানান উক্ত মাজারের খাদেম সলিমুদ্দিন। উক্ত খাদেম আক্ষেপের সুরে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান মাজার টি রক্ষণা বেক্ষণের জন্য সরকারি ভাবে কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়ার কথা। উক্ত মাজার টি যেহেতু অনেকের উপকারে আসে তাই একে রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বিশেষ করে এখানে হিন্দু মুসলিম সহাবস্থানের কারণে সবাই এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আঠাশে চৈত্র দিনটিতে সবাই এক সাথে বিনা পারিশ্রমিকে উক্ত মাহফিল সফল ভাবে সম্পন্ন করার প্রত্যয়ে কাজ করে যান স্থানীয় সকল শ্রেণী পেশার লোকজন।
তার মৃত্যুর পর স্থানীয় আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন নিয়ে ২০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান উক্ত মাজারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম। প্রতি বছর আঠাশে চৈত্র তারিখে মাজারের মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়। সেই সাথে পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি জেলা ও উপজেলা হতে বাউল শিল্পী এসে তাদের নিজ নিজ গান পরিবেশন করেন। বাউল গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।