• বরিশাল বিভাগ

    পটুয়াখালীর সিপিসি বরাদ্দকৃত টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে লাঞ্চিত একাধিক পরিবার।

      প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২২ , ৬:৪১:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার:

    পটুয়াখালী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সবুজবাগের ভোকেশনাল রোডস্থ বিশ্বাস বাড়ী সংলগ্ন হাওলাদার বাড়ীর মোসাঃ মাকসুদা বেগম (৩০) নামের এক নারী পৌরসভার সিপিসির বরাদ্দকৃত গভীর নলকুপটি জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে। ঐ নলকুপ থেকে এলাকার লোকজন খাবার পানি সংগ্রহ করতে গেলে মারধর ও গালি গালাজ করেন মোসাঃ মাকসুদা বেগম এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার ৬ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে, একই স্থানের বাসিন্দ জামাল হোসেনের স্ত্রী রানী বেগম সিপিসির ঐ নলকুপ থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে গেলে তাকে মারধর ও গালমন্দ করে বাড়ী থেকে বেড় করে দেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মৃতঃ আয়নাল আলীর কন্যা মাকসুদা। বাবার মৃত্যুর পরে বাবার বাড়ীর পৈত্রিক সম্পত্তির সাথে নিজেও কিছু জমি ক্রয় করে স্বামী তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

    সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে দেখা যায়, পৌরসভার একটি প্রজেক্টের সিপিসি বরাদ্দকৃত
    গভীর নলকুপ ও টয়লেট পটুয়াখালীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিপিসির নলকুপ জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য প্রকল্পটি উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন ইতিমধ্যে। কিন্তুু ৪ নং ওয়ার্ডের ভোকেশনাল রোডস্থ যে নলকুপটি খাবার পানি ও ব্যবহারের জন্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যায় মাকসুদা বেগম নামের এক নারী নিজের সুবিধার্থে ইলেকট্রিক মটর লাগিয়ে নিজ ঘড়ে পানি তোলার কাজে ব্যবহার করছেন অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না, যা আইনের বহিঃভূত।

    এবিষয় অভিযোগকারী জামালের স্ত্রী রানী বেগম বলেন, মাকসুদার আচার ব্যবহারে এখানকার মানুষ অতিষ্ঠ। আমরা খাবার পানি আনতে গেলে মারধর করে বাজে ভাষায় গালমন্দ করে। এরকম হলে সমাজে কিভাবে বসবাস করবো। আমরা এর একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ সমাধান চাই।

    এ ব্যপারে জনৈকব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, মাকসুদার ব্যবহার অত্যান্ত খারাপ প্রায় সময় বড়ভাই নাসিম হাওলাদারকে জুতোপেটাও করেন। নাসিমের ভাড়াটিয়াদের মারধর করে নামিয়ে দেয় এক কথায় এলাকার নারী ত্রাস। এমনকি কিছুদিন আগে কামাল নামের এক বড় ভাই এলাকার তার কাছ থেকে নগদ ১লক্ষ টাকা ধার নিয়ে নির্ধারিত সময় ফেরত দিতে গিয়ে ঐ বড়ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। জনৈক ব্যক্তি আরো বলেন, আমার মনে হয় ওর মানসিক কোন সমস্যা আছে।

    এবিষয় অভিযোগকারী জামালের অটোগ্যারেজ
    মালিক মো,ফিরোজ আলম দৈনিক,,,,, কে জানান, ওরা আগে দুমুঠো ভাত ঠিকমতো খেতে পারতো না, মা করতো অন্যের বাসায় কাজ, এখন অনেক টাকা পয়সার মালিক হয়েছে তাই নিন্ম শ্রেনীর মানুষ গুলোকে মানুষবলে মনে করে না। ওর স্বভাব চরিত্র মোটেও ভাল না আগেও ভালো ছিলনা। সিপিসির টিউবয়েল জনস্বার্থে সকলের জন্য। নিজের স্বার্থে মটর লাগিয়ে ব্যবহার করা ঠিক না। আমি এর তিব্র নিন্দা জানাই, অসহায় হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের সাথে অসৌজন্য আচরনের জন্য কঠিন শাস্তির দাবী জানাই আমি।

    এবিষয়ে মাকসুদার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, আমার সাথে এরকম কিছুই হয়নি ওরা বানিয়ে বলছে। সমাজে আমাকে হেওপ্রতিপন্ন করার জন্য কিছু অসাধু লোকের কাজ আমি কিছুই করিনি। উক্ত ঘটনার ব্যপারে মাকসুদার স্বামী মামুন এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

    উক্ত ঘটনার ব্যপারে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজল বরন দাসের মুঠোফোনে উপরেউল্লেখিত বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিপিসির কল জনস্বার্থে উন্মুক্ত। আর যে মটর লাগিয়েছে তিনি কাজটি মোটেও ঠিক করেনি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো বলে জানান তিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি কিংবা মামলাও হয়নি।।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ