প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২০ , ১০:৫০:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ‘ম্যানেজ’ করে সাগরে, অবাধে চলছে মাছ শিকার”বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসানের নির্দেশনায় ও পরিচালনায় রাতভর অভিযান চালায় মহিপুর থানা পুলিশ।
এরই ধারাবাহিকতায় মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরের শিববাড়িয়া নদীর গোড়া খাল এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালান হয়।
যানাযায়,২৮ জুন রাতে গভীর সাগর থেকে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে তীরে ফিরে আসা ৬টি ট্রলারসহ মোট ৫২ জন জেলেকে আটক করে পুলিশ।
কুয়াকাটার মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান শুরু হয়। যা চলে রাত তিনটা পর্যন্ত। এ সময় শিববাড়িয়া নদীর মোহনা অর্থাৎ গোড়া খাল এলাকায় পুলিশ ওৎ পেতে থাকে। পর্যায়ক্রমে গভীর সাগর থেকে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে মহিপুর বন্দরে আসার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, অভিযান শেষে ওই রাতে কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য অফিসার মনোজ কুমার সাহাকে বার বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে তিনি জেলা মৎস্য অফিসারকে অভিযানের বিষয়টি অবগত করেন।
ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযানের সময় মহিপুর থানা পুলিশ ৪টি ট্রলারসহ ২৮জন জেলে এবং নৌ পুলিশ ২টি ট্রলারসহ ২৫ জন জেলেকে আটক করে। জব্দকৃত ৬টি ট্রলারই মাছ ভর্তি ছিল বলেও তিনি জানান। ট্রলারগুলো সবই মহিপুর-আলীপুর এলাকার।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, সরকার সাগরে ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির কারণে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা সকলের মেনে চলা উচিত। তিনি জানান, পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে টহল ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে। তবে দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
এবিষয় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ মোল্লা জানান, আটক জেলেদের বেশির ভাগই মহিপুর-আলীপুর এলাকার। এরা গত কয়েকদিন ধরে প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে অবৈধভাবে সাগরে গিয়ে মাছ শিকার করে আসছিল। তিনি আরও বলেন, আটক জেলেদের মৎস্য আইন অনুযায়ী আর্থিক জরিমানা ও কারাদণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে জব্দকৃত ট্রলারগুলোর মালিকদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এসব মালিকদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মহিপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি ফজলু গাজী ও কলাপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মাছুম ব্যপারীর নেতৃত্বে কুয়াকাটার কতিপয় ব্যবসায়ী সাগরে মাছ শিকার করাচ্ছে জেলেদের দিয়ে। জেলেদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে ওই দুই ব্যবসায়ী কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য অফিসারকে ‘ম্যানেজ করে’ গত কয়েকদিন ধরে অবৈধভাবে সাগরে মাছ শিকার করে আসছিল।