• Uncategorized

    পটুয়াখালীর দুমকীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালীদের ভুমি দখলের পায়তারা

      প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২১ , ৮:৩৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালীর দুমকীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালীদের ভুমি দখলের পায়তারা!

    পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালীতে ফেরীঘাট সংলগ্ন বাজারে জমিতে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভুমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    গত ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার সময় ঠীকাদার মো,সুমন এর নেতৃত্বে লেবুখালী ফেরীঘাট সংলগ্ন বাজারে ৪/৫ জন শ্রমিক নিয়ে পাকা বিল্ডিং এর কাজ শুরু করেন।

    এবিষয় ভুক্তভোগী মোকলেছ খান (৬৫) এর দুমকী থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দুমকি লেবুখালী মৌজার ১৪০ নং খতিয়ানের ১৩২৯ নং দাগের ৯ শতাংশ সম্পত্তির রেকর্ডীয় ক্রয় সূত্রের মালিক মোকলেছ খানঁ। বিরোধীয় ৯ শতাংশ সম্পত্তি লেবুখালী বাজার সংলগ্নে থাকায় তৎকালীন দুমকী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বাজারের অবকাঠামো বর্ধিত করতে বিরোধী সম্পত্তি অনৈতিক ভাবে দখলের চেষ্টা করে। ভুক্তভোগী সম্পত্তি রক্ষায় গত এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাদি করে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৪৩৩/২০০৭। এবং একই বিরোধী সম্পত্তি নিয়ে ২০১৬ সালে বিজ্ঞ আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৩৩।

    শুধু তাই নয় আদালতে মামলা দায়েরে ভুক্তভোগীর অনুকূলে বিজ্ঞ আদালত মামলার বর্নিত সম্পত্তির ৮৪৬ নং খতিয়ানের ৮২৬নং হালদাগে অন্তবর্তিকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে বলে সরেজমিনে ঘুড়ে জানাযায়।

    এ ব্যপারে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ভুক্তভোগী মোকলেছ খান দির্ঘদিন যাবৎ মামলাটি পরিচালনা করে আসছে। গত ১৬ এপ্রিল ২১ ইং তারিখ ঠিকাদার পরিচয়ে দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মো,সুমন, পিতা,অঞ্জাতনামা, মোঃ সেলিম আকনের ছেলে মোঃ শাওন ও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ১০/১২ জন বিজ্ঞ আদালতের অন্তবর্তিকালীন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় সম্পত্তির উপর গায়ের জোরে পাকা বিল্ডিং নির্মানের পায়তারা চালায় এমনটাই সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে।

    এবিষয়ে দুমকি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন এর কছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অবগত নই। তবে উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা বলেন আমরা কোন স্থান নির্ধারন করিনী। তবে তারা অবগত থাকতে পারে। ভুমি কর্মকর্তা এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানিনা তবে বিজ্ঞ আদালতের অন্তবর্তিকালীন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করার সাধ্য কারো নেই, ভুক্তভোগী চাইলে থানাপুলিশে সহায়তা নিতে পারে। এবং এব্যপারে আমার কাছে ভুক্তভোগী সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা চাইলে আমরা থাকবো তার পাশে এমনটাই ব্যক্ত করেন তিনি।

    এ নিয়ে সার্বিক বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো,সুমন এর মুঠোফোন (০১৭১২-৯২৩৭১৬) নাম্বারে ফোন করলে তিনি জানান, আমি বিরোধীয় সম্পত্তির আদালতের অন্তবর্তিকালীন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। তবে ঐ স্থানে আমাকে চেয়ারম্যান শাহআলম আকনঁ ও ইউনিয়ন আঃলীগের সেক্রেটারি কাজ করতে বলেছে বিধায় আমি কাজ করতেছি আমাকে স্থানীয় সরকারি প্রতিনিধি অথবা এলজিআরডি যেখানে বলবে আমি সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো আমার দোষ কোথায় বলে জানান তিনি।

    উল্লেখ্য,এনিয়ে বর্তমানে ভুক্তভোগী গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে দুমকি থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানাপুলিশের এসআই জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার পরামর্শসহ কাজটি বন্ধ করে দেয় বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ