প্রতিনিধি ১ মে ২০২১ , ১২:১৪:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নে ছাত্রলীগকে কটুক্তি মুলক কথা বলায়,তার প্রতিবাদ জানালে ইউনিয়ন সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও তার পরিবারের উপরে সন্ত্রাসী হামলার স্বিকার হন এমনটা ই খবর পাওয়া যায় ।ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮শে এপ্রিল বুধবার ২১ ইং তারিখ রাত ৮ টার সময় অত্র ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
উক্ত হামলায় আহতরা হলেন,১.রাশেদুল ইসলাম (১৮), পিতাঃ আশরাফ স্বর্নমত (৫৮) ২. আশরাফ স্বর্নমত (৫৮), পিতাঃ মৃত মজিদ স্বর্নমত ৩. মিজানুর রহমান, (৩৫), পিতাঃ লাল মিয়া বয়াতী। আহতরা পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছে বলে জানাযায়।
অপদিকে হামলাকারীরা হলেন, (১). আনোয়ার ফকির (৫৮), পিতাঃ খালেক ফকির, (২).কাজল হাওলাদার (৩৮), পিতাঃ ইসমাইল হাওলাদার, (৩).সেলিম মৃধা (৩০), পিতাঃ মনু মৃধা, (৪). ফারক তালুকদার(৪০), পিতাঃ জয়নাল তালুকদার, (৫). জাহাঙ্গীর মেলকার (৩০), পিতাঃ আলতাফ মেলকার, (৬). ফারুক হাওলাদার (৪৫), পিতাঃ নুর-ইসলাম হাওলাদার, (৭). রবিউল ফকির (২০), পিতাঃ আনোয়ার ফকির, (৮). কাশেম তালুকদার (৩০), পিতাঃ আনিছ তালুকদার, (৯). জুয়েল হাওলাদার (২৫), পিতাঃ সায়েব আলী সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এ হামলা চালায়।
এব্যপারে হামলার স্বিকার রাশেদুল ইসলাম দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠ ও দৈনিক বরিশাল সমাচারকে বলেন, হামলাকারীরা এলাকায় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক।আমাদের সঙ্গে পুর্বে কোন বিরোধ ছিলো না।আমি ছাত্রলীগ করি এটাই আমার অপরাধ। তাদের বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে কেহই প্রতিবাদ করে না,আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে ও ছাত্রলীগকে তুলে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ ও কটুক্তিমুলক কথা বার্তা বলে,এতে আমার বাবা প্রতিবাদ করায় তাকেও জনসম্মুখে হুমকি ধামকি দেয়।
বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার রাত ৮ টার সময় সেন্ট্রাল বাজার সংলগ্ন এলকায় পরিকল্পিত ভাবে ওতপেতে থাকা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী দল সঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা, বগি, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আমাদের উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। কিছু বুজে ওঠার আগেই এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর শুরু করে। তার মামা মিজানুর রহমান মার ফেরাতে আসলে তাকেও বেধরক ভাবে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
এসময় মাথা, চোখ সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে প্রানে মেরে ফেলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বীর দর্পে সন্ত্রাসীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গ্রাম ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। চোখে ও মাথায় গুরুতর জখমের কারনে গ্রাম ডাক্তার পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন।
এঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি ছাত্রলীগ করি এটাই কি আমার বড় অপরাধ আজ ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগকে যারা গালি দিয়েছে তার প্রতিবাদ করায় আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা ও বিচারের দাবি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান।
এছাড়াও আহত আশরাফ বলেন, আমার ছেলে কেন ছাত্রলীগ করে সেই অপরাধে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা এ হমালা চালাশ এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আওয়ামিলীগ সরকার ও প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন আমার এমনটাই জানান তিনি ।
উপরে উল্লেখিত বিষয় চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, নজির সরদারের কাছে মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়েছে এবং তাদের দু’পক্ষই নাকি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সুস্থ হলে উভয় পক্ষকে স্থানীয়ভাবে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করবো।
এব্যপারে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাদের ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি বলে জানাযায়।