প্রতিনিধি ২৫ নভেম্বর ২০২০ , ৬:০১:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডভুক্ত বাঁশবাড়িয়া গ্রামে নিজ বসত ঘরের রান্না ঘড়ে গভীর রাতে নিজ বাবা নসরুল হাওলাদার (৪৫) কে জবাই করে হত্যাকারী কুখ্যাত ছেলে ইমরান (২৬) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ ꫰
জানাযায়,গত ২৩ নভেম্বর ২০ ইং তারিখ ভিকটিমের বড় ছেলে ও মামলার প্রধান আসামী খুনি ইমরানকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার শাজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরে ওই দিন রাত আনুমানিক ২১.১৫ ঘটিকায় খুনি ইমরানের দেখানো মতে নিজ ঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশী দা’টি উদ্ধার করে পুলিশ ꫰ এসময় ওই বসত ঘরের ২য় তলায় টেবিলের উপর একটি চিরকুট পায় পুলিশ ꫰ যাতে লেখা ছিল “আমার মা এই খুনের বিষয় কিছুই জানে না, আমি ইমরান নিজে এবং একা এই খুন করছি।” তবে ওই চিরকুটটির সত্যতা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ বিশেষজ্ঞ কর্তৃক যাচাইয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জেলা পুলিশ জানান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনি ইমরান জানায়, তার বাবা জমি বিক্রি করে তাকে কোন টাকা না দেয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে তার মাকে অত্যাচার করার ক্ষোভ থেকে সে ঘরে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে তার বাবাকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়।
গত ২৪ নভেম্বর-২০২০ ইং তারিখ ১১.০০ ঘটিকায় তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে সে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে꫰
উল্লেখ্য: গত ১৯ নভেম্বর-২০২০ ইং খ্রি: সকাল সাতটার সময় দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির বাঁশবাড়িয়া গ্রামে নিজ বসতঘরে বাবা নসরুল হাওলাদার, পিতা- ফজলুল হক, সাং-বাঁশবাড়িয়া, ০৮ নং ওয়ার্ড, থানা-দশমিনার গলার বাম পাশে কানের নিচে ঘাড়ে কাটা রক্তাক্ত লাশ তার বসতঘর সংলগ্ন ছাগল রাখার ঘরে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়।
রাতে তার স্ত্রী রিনা বেগম (৪০) ও সে ঘরের মধ্যে একই বিছানায় ঘুমানো ছিল। ঘটনার পর হতে তার ছেলে ইমরান পলাতক ছিল।উক্ত ঘটনার সময় চট্টগ্রামে অবস্থানরত ভিকটিমের।ছোট ছেলে ইলিয়াস (১৯) পরে বাড়িতে এসে বাদী হয়ে দশমিনা থানায় এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং ০৭, তারিখঃ ২০/১১/২০২০, ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৪ পিসি রুজু হয় বলে জানাযায়।