প্রতিনিধি ৫ নভেম্বর ২০২০ , ১১:৪৬:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৪জন এমনটাই অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনাসুএে জানাযায়, আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন মো. আবুল কালাম (৭০), মোসা. রওশনা বেগম (৫৫), রিনা বেগম (৩৫) ও মাজেদা বেগম (৩৪)।
ঘটনা সূত্রে ও আহত রিনা বেগম জানান, ২ নভেম্বর রোজ সোমবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের মুন্সি বাড়ি কালভার্টের উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে গুরুতর রক্তক্ষয়ী জখম করে।
এসম আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পরলে প্রভাবশালীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আহতরা আমার চিকিৎসাধীনে ৩য় তলায় ৭, ৮, ৯ ও ১০নং বেডে ভর্তি আছে।
রিনা বেগমের কানের লুতরি ছিড়ে যায়। বাকি আহতদের শরীরে মারধরের চিহ্ন আছে। আহত বৃদ্ধ আবুল কালাম বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করায় কুদ্দুস খলিফা, হাসান খলিফা, জলিল খলিফা, শফি খলিফা, রফিক খলিফা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে আহত রওশনা বেগম জানান, আমার ছেলেকে মেরে ওরা ক্ষেন্ত হয় নি, এখন আমাদেরকেও মারতে চায়। আমরা এখন আহত অবস্থায় হাসপাতালে পরে আছি। এ বিষয়ে মৃত. রিয়াজুলের বড় ভাই মো. নিজাম হাওলাদার বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
আসামীরা এ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমার বাবা, মা, স্ত্রী ও খালাকে মারধর করেছে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পানপট্টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। পানপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কুদ্দুস মেলকার বলেন, আসলেই চারজনকে মারধর করায় ঘটনাটি দুঃখজনক।
এব্যপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন,এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।