প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:২৭:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীতে ১১ বছরের নাবালিকা শিশুকে শ্লীলতা হানির অভিযোগ, থানায় মামলা দায়ের!
পটুয়াখালী পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ডস্থ বর্তমান কাউন্সিলর আপন চাচা আলহাজ্ব নুরুল হক মোক্তার আকঁন (৬৫) এর বিরুদ্ধে (১১) বছরের নাবালিকা শিশুকে শ্লীলতাহানি করায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানাযায়।ঘটনাটি ঘটে গত ১১ ও ১২ ডিসেম্বর ২০ ইং তারিখ পর পর দুইদিন । সময় ১০ টা হতে ১২ টার মধ্যে মামলা সূএে জানাযায়।
যার মামলা নং-(১০), ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী- ২০০৩ ইং ৯(১) ধারা মোতাবেক মামলাটি রুজু করা হয়েছে মঙ্গলবার (১২-জানুয়ারি ২১ ইং) তারিখ পটুয়াখালী সদর থানায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্তকারী নুরুল হক মোক্তার হলেন পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন আকঁন এর আপন চাচা। শ্লীলতাহানির ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে একটি মহল ভুক্তভোগীর পরিবারকে অর্থের লেনদেনে শালিস বৈঠকে মিমাংশার পায়তারা চালায়,মেয়ের বাবা রাজি না হওয়ায় পরে তা বানচাল হয়ে যায়।
জানাগেছে, পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডস্থ কলাতলা বাবড়ী মসজিদ সংলগ্ন নুরুল হক মোক্তার আকঁন পিতাঃ মৃত মানিক আকঁনের ছেলে। এর বাসায় কাজের মেয়ে ভিকটিম (১১), শিশুটি গরীব অসহায় তাই শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং কাউকে কিছু না জানানোর ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয় শিশু কন্যাটিকে।
এবিষয়ে ভিকটিম এর মাতা গোলচেহারা ভানু দৈনিক বরিশাল সমাচার ও দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, “আমরা গরীব মানুষ মানুষের বাসায় কাজকাম কইরা খাই, আমার অবুজ মেয়েটাকে কাজের কথা বলে,তখন এও বলে চার চার বার হজ্জ করেছি তোমার মেয়েটাকে দেও বিশ্বাষ করতে পার আমাকে এই বলে বাসায় রেখে দিনের পর দিন এমন অমানবিক অত্যাচার চালিয়ে জীবনটাকে নষ্ট করে দিলো, একে তো আমরা মরা তারউপরে মাইরাই ফালাইলো আমাগো ।
আমরা গরীব বলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়,হুমকি ধামকী দিতেছে। কান্না জড়ীত কন্ঠে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় মেয়ের সাথে দেখা করতে গেলে দেখা করতে দিতো না খারাপ আচরণ করতো।পরে মেয়েকে বাসায় আনার পর অসুস্থ দেখে জিজ্ঞেস করার পরে ঘটনা জানতে পারি। পরে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে হসপিটাল থেকে টেষ্ট দেয়।
তখন বুঝতে আর বাকী নেই আসলে এরা মানুষ না অমানুষ, আমার ফুলের মত শিশু বাচ্চার জীবন নষ্টকারীর কঠোর বিচার চাই তার ফাঁসি চাই আমি। সূএেআরো জানাযায়, ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য উক্ত মামলাকৃত আসামীর ভাগিনা শহিদুল ইসলাম ভিকটিমের গলায় বটি ধরেন জবাই করার উদ্দেশ্যে।ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমি একজন রিকশা চালক দিন আনি দিন খাই।
ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য নুরুল হক মোক্তার আকঁন দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে চুপ হয়ে যেতে বলেন।তার আত্মীয় স্বজনরা এলাকার প্রভাবশালী ও কমিশনার। আমি আইনের কাছে যেন না যেতে পারি সেজন্য আমার মেয়ে, ও স্ত্রীকে বাসা থেকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনীদ্বারা সারা রাত চেষ্টা চালায়।
জীবন বাচাঁইতে বাসা রাইখা গভীর রাইতে প্রচন্ড শীতে বিলের মাঝখানে লুকাইয়া থাকতে হয়েছে। এছাড়াও পরিবার পরিজনদের নিয়ে খুবই আতঙ্কে দিনকাটাচ্ছি। তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি জানায় । তিনি আইনের কাছে সুবিচারের চেয়ে আসামির কঠোর শাস্তির দাবি করেন এই বৃদ্ধ।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আকতার মোর্শেদ দৈনিক বরিশাল সমাচারকে বলেন, থানায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আইন তার সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে,এতে কোন সন্দেহ নেই অপরাধী যেই হোক না কেন কাউকেই ছাড়দেয়া হবে না, বলে জানান তিনি।
এই মামলায় পটুয়াখালী সদর সার্কেল মো, মুকিত হাসান ন্যায়ের পক্ষে সদ্য ভূমিকা পালন করেন।এসময় তিনি বলেন,আপনারা মিডিয়ার ভাইয়েরা যারা আছেন কোন প্রকারেই ভূল বুঝবেন না এখানে কোণ প্রকার অসচ্ছ,দূর্নীতি পাবেন না। অপরাধী যেই হোক মোটেই ছাড় পাবেনাএ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলাকৃত আসামী গ্রেফতার হয়নি।