প্রতিনিধি ২৯ মার্চ ২০২২ , ৫:৪১:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন-স্টাফ রিপোর্টার:
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৩ নং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের প্রবাসী সালাম খানের স্ত্রী মোসাঃ সেমালা আক্তার আসমা ও ছেলে মোঃ নয়ন খানকে নিজ বসত ঘরে ডুকে দরজা বন্ধ করে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে শারীরিক জখম, আসবাবপত্র ভাংচুর, শ্লীলতাহানি ও নগত টাকা সহ স্বর্নলংকার লুট করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, রবিবার (২৭’মার্চ) সকাল আনুমানিক ১০:৩০ এর দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এতে অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ বাবুল খান, মোঃ জাফর খান, মোঃ দেলোয়ার খান, সর্ব পিতা- মৃত সত্তার খান, মোঃ জাহিদ খান, মোসাঃ তানিয়া বেগম, পিতা- মোঃ জাফর খান, মোসাঃ মাসুমা বেগম, স্বামী- মোঃ জাফর খান, মোঃ রহমান হাং, পিতা- জয়নাল হাং, মোসাঃ হালিমা বেগম, স্বামী- বাবুল খান, সর্ব সাং- দক্ষিন আমাড়াগাছিয়া, থানা-মির্জাগঞ্জ, জেলা-পটুয়াখালী।
সরেজমিন অনুসন্ধান ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপরিউক্ত অভিযুক্তরা যথাক্রমে প্রবাসী সালাম খানের স্ত্রী মোসাঃ সেমালা আক্তার আসমা ও তার সন্তান মোঃ নয়ন খানকে নিজ বসত ঘরে ডুকে দরজা বন্ধ করে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে শারীরিক জখম, আসবাবপত্র ভাংচুর, শ্লীলতাহানি ও নগত টাকা সহ স্বর্নলংকার লুট করেছেন। এতে অভিযুক্তরা শোকেসের মধ্যে রক্ষিত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, সেমালা আক্তারের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, যার মূল্য অনুমানিক- ৭৩,০০০/- (তেহাত্তর হাজার) টাকা, কানে থাকা ১২ আনা (বারো আনা) ওজনের স্বর্ণের কানের দুল- যার মূল্য অনুমানিক- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, হাতে থাকা ২ ভরি ওজনের দুইটি রুলি- যার মূল্য অনুমানিক-১,৫০,০০০/- (একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়া যায়।
একপর্যায়ে সেমালা আক্তার আসমা ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে আহত অবস্থায় সেমালা আক্তার আসমা ও তার ছেল নয়ন খানকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আহতদের মির্জাগঞ্জ উপজেলা সাস্থ্য- কমপ্লেক্স ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং রোগীর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় বরিশাল শেরে-বাংলা হাসপাতালে রেফার করেন।এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এবং এ বিষয়ে শীগ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।