প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ৩:১৮:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
।মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর সদর উপজেলাধীন আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাদুরা বাজার সংলগ্ন ৮নং ওয়ার্ডস্থ মেম্বার ওতার ছেলে কতৃক ছেলের বউকে যৌতুকের দাবী পূরন না করায় মারধর করার অভিযোগ পাওয়া যায়।ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ শে এপ্রিল শনিবার সকল ১০,৩০ মিনিটের সময় এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।মামলা সুত্রে যানাযায়, যৌতুকের দাবী পূরন না করায় ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউ পি সদস্য মোঃ কালাম ও কৃষক মোঃ সোহরাব হাং এরা দুইজন সৎ ভাই।
মোঃ কালাম সৎ ভাই মোঃ সোহরাব হাংএর মেয়ে মোসাম্মদ লিমাকে ছেলের বৌ করেন ২০১৫ সালে। এই বর ও কনে এক বছর সংসার ভালো ভাবেই করেন। হঠাৎ করে বর মোঃ সাইফুল স্ত্রী লিমাকে যৌতুকের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিতে পারলে শশুরের জমি দখলের চেষ্টা। স্ত্রী লিমা স্বামী সাইফুল কে এ ব্যাপারে নিষেধ করলে স্বামী সাইফুল স্ত্রী লিমাকে অনেক মারধর করেন।
লিমার বাবা মেয়ে ও জামাই কে ধরতে গেলে,জামাই সাইফুল ও বেয়াই কালাম মিলে মার ধর করেন লিমা ও তার বাবাকে এবং জায়গার চারর্পাশে থাকা বেড়া চাটকী ভেঙ্গে ফেলেন।এসময় ৯৯৯ কল দিলে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। দুই পক্ষকে উপস্থিত পুলিশ অভিসার ২৫ এপ্রিল ২১ ইং রোজ রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় উপস্হিত থাকার জন্য বলেন।
এব্যপারে ভুক্তভোগী লিমা জানায়, আমাদের প্রস্তাবের মাধ্যমে বিবাহ হয়, বিবাহের ৬ বছরের সংসারে ১ পুত্র সন্তান আসে কোল জুড়ে। আমি কয়েক বার আমার বাবা মা’য়ের কাছ থেকে টাকা এনে দিয়েছি। তার পরেও আমার উপরে অমানবিক নির্যাতনের শিকার আমি। আমার স্বামী মোঃ সাইফুল প্রতিনিয়ত বলেন আমার বাবা-র কাছ থেকে টাকা আনতে আমি তাতে অপারগতা শিকার করলে আমার বাবার নিজ ক্রয় করা সম্পত্তি জবর দখর করার পায়তারা চালায়।
আমার বাবাকে,আমাকে অনেক মার ধর করে আমি বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তিন তলায় সার্জারি ওয়ার্ডে বর্তি আছি। আমার বৃদ্ধ বাবাকে আমার শশুর, স্বামী ও দেবর মিলে মার ধর করে আমি এর সঠিক বিচারের দাবি করছি এমনটাই আর্তনাদ করে জানান।
এবিষয় অভিযুক্তকারী ইউপি মেম্বার কালাম হাওলাদার এর মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলের বউ ও তার পরিবার খারাপ প্রকৃতির লোক তবে আমার নামে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ভিত্তিহীন মনগড়া।এসময় পুত্রবধুর বাবা ও পুত্রবধূকে মারধর করার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে ফোনটি কেটে দেন।
এব্যপারে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আক্তার মোর্শেদ এর কাছে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এস,আই পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি ।