প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২০ , ১০:৪১:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলাধীন জৈনকাঠী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের গৃহবধূ মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি মৃত্যুঃ স্বামী রফিকুল ইসলাম ওরফে রহিম (৩০) এর মৃত দেহ সুনামগঞ্জ থেকে এনে সনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পটুয়াখালীর সদর থানা পুলিশ।।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, স্ত্রীকে হত্যা মামলায় রফিকুল ইসলাম গত ২২ জুন থেকে পলাতক রয়েছে।গত ২৬ জুন সুনামগঞ্জ পুলিশ তার গলায় দড়ি দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।লাশ পোস্টমর্টেম শেষে ২৮ জুন পটুয়াখালী সদর থানায় পাঠানো হয়।এবিষয়ে পুলিশের ধারণা মতে আসামি রফিকুল ইসলাম গলায় দড়ি দিয়ে আত্ন্যহত্যা করেছে।তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে সঠিক তথ্য জানাযাবে এটা আসলে আত্মহত্যা নাকি রহস্য জনক কোন হত্যা। তবে এবিষয়ে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।ঘটনাস্থলের নিকটস্থ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ জুন-২০২০ ইং তারিখ পুর্ব জৈনকাঠী চাড়াবুনিয়া গ্রাম, ৪ নং ওয়ার্ড, মনপুরা স্টেশন সংলগ্ন আঃ রশিদ মারোয়ানের বাড়ি থেকে গৃহবধূ মিতুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত গৃহবধূ মিতু হচ্ছেন একই ইউনিয়নের ফেদাই নগর ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কবির মৃধার বড় মেয়ে।
এ বিষয়ে মৃত মিতুর পিতাঃ কবির মৃধা, বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও পারিবারিক সুত্রে জানাগেছেঃ যৌতুকের দাবি পুরন না করায় শশুর বাড়ির লোকজন মৃত মিতুর পাষন্ড স্বামীঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে রহিম মারোয়ান (৩০), ও ধারনা মতে, শশুর, আঃ রশিদ মারোয়ান, শাশুড়ী নুর সায়েদা (৫০), ননদ রাহিমা (২৫), ভাসুর শফিকুল ইসলাম মারোয়ান (৩৫), জাল ইয়ানুর বেগম (২৮), শশুর বাড়ির লোকজন মিলে মিতুকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। যাহার নং-১৬ তাং- ২৩/০৬/২০২০ ইং। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০), সংশোধনী (২০০৩) এর, ১১(ক)/৩০ ধারায় রুজু করা হয়েছে।মামলার তদন্ত ভার এস,আই মাসুদ হাওলাদার এর উপরে রয়েছে বলে মামলা সুত্রে জানাগেছে।
এছাড়া মামলার বাদী মো. কবির মৃধা বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।তার শশুর বাড়ির লোকজন মিলে।প্রধান আসামির মৃত্যু নিশ্চিত হলেও বাকি আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছে।তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আখতার মোর্শেদ বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে পাঠানো লাশ তাদের পরিবারের লোকজন সনাক্ত করে নিশ্চিত হলে আমরা লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।এবং মৃত রফিকুল ইসলাম ওরফে রহিম বর্তমানে খাদিজা আক্তার মিতু হত্যার প্রধান আসামি ছিলো বলে তিনি নিশ্চিত করাহয়।।