প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১:৪৪:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীতে মা-বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগে স্কুলশিক্ষক মাহাবুব আলম লিটন (৪০) নামের এক যুবক’কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) দিবাগত রাত ৮টার দিকে পটুয়াখালী পৌরশহরের কলেজ রোডের মৃধা বাড়ি সড়ক এলাকা থেকে তাকে সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন গ্রেফতারকৃত মাহাবুব আলম লিটন গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠকে বলেন, মা-বাবাকে নির্যাতনের মামলায় মাহাবুব সহ তার স্ত্রী আকলিমা বেগমকেও আসামি করা হয়। গ্রেফতারপূর্বক রাতেই আদালতের মাধ্যমে মাহাবুবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। ওসি আরও বলেন, আর অন্য আসামি মাহাবুব এর স্ত্রী আকলিমা বাড়িতে না থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসামি আকলিমা বেগম পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ছেলে ও পুত্রবধূর নামে চলতি বছরের গত ৭ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন বাবা আবুল হাশেম।তার আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম রকি জানান, হাশেম পটুয়াখালী জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী প্রকৌশলী শাখায় চাকরি করতেন। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে অবসরে যান।পরিবার নিয়ে তিনি পৌর শহরের মৃধাবাড়ি সড়কে থাকতেন। সেখানে প্রায় ১২ বছর ধরে ছিলেন হাশেমের মেজ ছেলে মাহাবুব ও তার স্ত্রী আকলিমা।
সবশেষ গত বছরের শুরুর দিকে ওই বাড়ি থেকে মা-বাবাকে তাড়িয়ে দেন মাহাবুব ও তার স্ত্রী। তারা গ্রামের বাড়ি গলাচিপায় চলে যান। কিছুদিন পর আবার শহরে ফিরে ভাড়া বাসায় ওঠেন।মামলায় অভিযোগ করা হয়, নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় বাবার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নেন তারা। তা ফেরত চাইলে মা-বাবাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। তাদের নির্যাতনে অসুস্থ্ হয়ে কিছুদিন হাসপাতালেও ছিলেন বাবা হাশেমের স্ত্রী মা ফিরোজা বেগম।
মামলায় আরও বলা হয়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বড় ছেলে ফারুক হোসেন মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলে মাহাবুবও সেখানে যান। তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বাবা ও বড় ভাইকে বঁটি দিয়ে কোপাতে যান তিনি। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে মাহাবুব চলে যান।এই ঘটনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে গিয়ে মামলার আবেদন করেন হাশেম। সেটি আমলে নিয়ে মাহাবুবকে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। আকলিমাকে তলব করা হয় আদালতে এমনটাই জানা যায়।