• আইন ও আদালত

    পটুয়াখালীতে বশার হত্যা ঘটনায় পুলিশের অপমৃত্যু মামলা

      প্রতিনিধি ৭ মে ২০২২ , ৩:১৩:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন বদরপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হকতুল্লাহ গ্রামে মুগডাল তোলা ও জমিজমার পূর্ব বিরোধের জেরে আঃজব্বার তালুকদারের বড় ছেলে বশার তালুকদার (২৮)কে মারধর করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের মোঃ মজিবর তালুকদারের ছেলে ইব্রাহিম তালুকদার (২৮), সাইফুল তালুকদার(২২),মৃত আঃ রকমান তালুকদারের ছেলে মজিবর তালুকদার (৫৫), সামসুল হক তালুকদারের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার (৩৮), মৃত কাদের তালুকদারের ছেলে সামসুল হক তালুকদার(৬২), সামসুল হক তালুকদারের স্ত্রী মোসাঃ শরভানু বেগম(৫৫) বলে অভিযোগ করেছে মৃত বশার তালুকদারের স্ত্রী নুর নাহার বেগম(২৬) ও তার পরিবার বর্গ।

    এ ঘটনাটি ঘটে গত ৪ ঠা মে ২০২২ ইং তারিখ বদরপুর ইউনিয়নের হকতুল্লাহ গ্রামের পাড়ের বাড়ীর পাকা রাস্তার উপর বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে। এঘটানার চাক্ষস সাক্ষী মৃত বশারের স্ত্রী নুর নাহার বেগম উপরোক্ত হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও পটুয়াখালীর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃমনিরুজ্জামান অভিযোগখানা এজাহার হিসেবে গন্য না করে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন এবং অভিযোগে উল্লেখিত সাক্ষী রিপন ও সলেমানকে থানায় একদিন আটক করে রাখারও অভিযোগ করেন মৃতের স্ত্রী সহ পরিবারবর্গের লোকজন।

    বশারের স্ত্রী নুর নাহার বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ঈদের পরের দিন বিকেলে পাড়ের বাড়ীর পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশে আমি ও আমার স্বামী মুগডাল তুলার সময় তারা আমদের বাধা প্রদান করে এবং তাদের সাথে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে সাইফুল তালুকদার, মজিবর তালুকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, সামসুল হক তালুকদার, শরভানু বেগম আমার স্বাীমকে এলোপাথারি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করলে সে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

    আমার চার বছরের ছেলেকে নিয়ে কোথায় যাব কি করবে আমার বাচার আর কোন অবলম্বন রইলো না। সে বাবা বাবা করে দিন রাত চিৎকার দিয়ে কাদছে। আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই। ছেলে হারা মা হনুফা কেদে কেদে বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই। দেশে কি গবীরের জন্য কোন বিচার নাই বলে জানান তারা।উক্ত ঘটনার বরাত দিয়ে স্থানীয় মতিয়ার রহমান বলেন, বশার মারামারি ঘটনা তার কাছে বলতে বলতেই তার হাতের উপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তিনি এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

    এবিষয়ে সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মরিরুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, যেহেতু মৃত বশারের শরীরে কোন দৃশ্যমান আঘাত না থাকায় প্রাথমিক
    ভাবে আমরা অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছি। তয়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে সে অনুযায়ী আসামূদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) আহমদ মাইনুল হাসান এর কাছে জানতে
    চাইলে তিনি বলেন, কোন আঘাতে চিহ্ন নাথাকায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে এবং তয়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে যদি আঘাতে কারণে মৃত্যু হয় তবে মামলা হবে এবং জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ