• বরিশাল বিভাগ

    পটুয়াখালীতে প্রশাসনের উদ্দ্যেগে খাল দখল মুক্ত, কৃষকের মুখে হাসি।

      প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২২ , ৫:২৯:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।

    পটুয়াখালীর সদর উপজেলা লাউকাঠী ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে পেশিশক্তি দেখিয়ে প্রভাবশালী একটি মহল পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৩৪ নং তেলিখালী মৌজার ০১ নং খাস খতিয়ানের ২২৮৬ নং দাগের হাল শ্রেণীর ৪০ ফুট প্রস্ত বিশিষ্ট একটি সাধারন প্রবাহমান খালে দুটি বাঁধ নির্মান করে খালের সাধারন প্রবাহ বন্ধ করে পুকুর তৈরি করে এলাকার কৃষকদের কৃষিতে বাধাদেয়াসহ খাস জমি বেদখল করার চেষ্টা করেছে। এমন বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আলম – পিতা মৃতঃ মোসলেম আলী সিকদার পটুয়াখালী সদর উপজেলা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ও সদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী এবং পুলিশ সুপার পটুয়াখালীকে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

    অনুরোধের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা নাহিদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন মাহমুদ এর আন্তরিকতায় খালের বাঁধ কেটে দিয়ে দখলমুক্ত করায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।উল্লেখ্য, অভিযোগকারী ফিরোজ আলম জানান, তার ছেলে ইসরাত হোসেন খাস জমি বেদখলকারী স্থানীয় প্রভাবশালী ইদ্রিস সিকদারকে জমির বেদখল ছেড়ে দিয়ে খালের পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে এলাকার কৃষকদের কৃষি আবাদের সুবিধার্থে খালের বাঁধ কেটে দেয়ার জন্য বিনয়ী অনুরোধ করেন।কিন্তুু বেদখলকারী প্রভাবশালী ইদ্রিস সিকদার তার বাহিনী লোক জড়ো করে নানারকম অসামাজিক গালাগালি ও পেশীশক্তির প্রভাবের ব্যাপারে ধারনা নেই বলে হুমকি ধামকি দিয়েছে বলে জানান।

    এছাড়াও এলাকার সাধারন জনগন ও ভুক্তভোগী কৃষকরা জানিয়েছেন, ইদ্রিস সিকদার এবং তার সাথের প্রভাবশালী লোকজন অফিস, দপ্তর কিনে নিয়েছে বলে এলাকার লোকজনকে হুমকি ধামকি দিয়ে নিয়মিত ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিলো। এলাকার রাস্তাঘাট, জমিজমা নষ্ট করে, বেদখল করে সাধারন কৃষক ও এলাকাবাসীকে পেশীশক্তির ভয় দেখিয়ে নিরূপায় করে রেখেছিলো। তবে সমাজের এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ গুলোর সুদৃষ্টি থাকলে দেশের সাধারন মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে বলে জানান।

    জমি দখলমুক্ত হওয়ায় এবং খালের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরে আসায় এলাকার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। অভিযোগকারী ফিরোজ আলমসহ এলাকার সাধারন কৃষকরা জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও ইউএনও-এসিল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।খালের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বৃদ্ধিতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং উৎপাদন সহজ হবে বলে আশা করছে কৃষকরা। ফসলের ভালো উৎপাদন জাতীয় কৃষিঅর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে অত্র এলাকারবাসীর এমনটাই ধারনা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ