প্রতিনিধি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৬:৫৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরাতন টাউন হল দখল করে স্টল নির্মানের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে ꫰শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর-২০২০ ইং) বেলা ১১টার সময় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয় ।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক সংগঠন সুন্দরমের সভাপতি ও পটুয়াখালী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এম নুরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও টেলিভিশন জার্নালিষ্ট ফোরামের সাধারন সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রুবেল এবং ধ্রুবতারা ও পটুয়াখালী খেলাঘর আসরের তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু।
এদিকে বিচার বিভাগের নাম ব্যবহার করে টাউন হল দখল করে নির্মিত স্টলের ছবি তুলতে গিয়ে যুবদল ক্যাডার আকরাম ও লিকন গাজীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের পটুয়াখালী প্রতিনিধি চিনময় কর্মকার ও বাংলা ভিশনের পটুয়াখালী প্রতিনিধি শাহাদাৎ হোসেন
সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও টাউন হল ব্যবস্থাপনা কমিটি সুত্র জানায়, প্রায় ১৩০ বছর আগে ব্রিটিশ সরকার তৎকালীন মহাকুমা শহরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য শহরের প্রাণ কেন্দ্র পুরাতন আদালত ভবন সংলগ্ন এলাকায় ২৫০ আসন বিশিষ্ট এ হলটি নির্মান করা হয়। কালের বির্বতনে এ পুরাতন টাউন হল হয়ে ওঠে শহরের সাংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র বিন্দু।
একসময় এ হলে রাজনৈতিক সভা করেছেন মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে জাতীয় অনেক নেতৃবৃন্দ। একটি ১১ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে এ টাউন হলটি পরিচালনা করা হতো।
পদাধীকার বলে জেলা প্রশাসক ঐ কমিটির সভাপতি এবং শহরের বেসরকারী একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সাধারন সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স জানান, দীর্ঘ একশ বছরের অধিক সময় এই নিয়মেই টাউন হল পরিচালিত হয়ে আসছিলো। কিন্তু অতি সম্প্রতি বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় টাউন হলের জমিটির মালিক বিচার বিভাগ।
সাংস্কৃতিক সংগঠন সুন্দরম সভাপতি ও পটুয়াখালী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এম নুরুল ইসলাম জানান, জমির মালিকানা যে বিভাগেরই থাকুক না কেন তাতে পটুয়াখালীবাসীর লাভ ক্ষতি নেই। মুল কথা হলো এটির মালিক সরকার। পুরাতন টাউন হলটি যাতে সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সকল মানুষ ব্যবহার করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে হলটি আধুনিকায়ন করার দাবীও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসকের দপ্তরের নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানায়, বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের সাথে কোন রকম যোগাযোগ না করেই তারা টাউন হলের বারান্দা দখল করে স্টল নির্মান শুরু করে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ও টাউন হল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্টল নির্মানের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। পটুয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী এ হলটি টিকিয়ে রাখতে হলে সকলের ঐক্যবদ্ধভাবে দাবী তুলতে হবে বলে জানান তিনি꫰ তবে এব্যাপারে জেলা বিচার বিভাগের কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।