• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে দুর্নীতির অভিযোগে ফেঁসে যাচ্ছেন বাউফল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আশরাফ আলী।  

      প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২০ , ৬:৫৭:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর বাউফলে ভূমি অফিসে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে ফেঁসে যাচ্ছেন পটুয়াখালী বাউফল  উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আশরাফ আলী খান। ইতিমধ্যে মো: রুহুল আমিন নামে একব্যক্তি বাদী হয়ে দুদক সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    উক্ত ঘটনায় বাদী মো: রুহুল আমিনের অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,অভিযুক্ত আশরাফ আলী খান ভূমি কর্মকর্তা বাউফল উপজেলার নওমালা ইউপির বটকাজল গ্রামের আঃ রহমান খানের ছেলে। আশরাফ আলী খান ১৯৯৪ সালে ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এর পরেই ঘুরে যায় ভাগ্যর চাকা। অনিয়ম ও দুর্নীতি মধ্যে দিয়ে রাতারাতি হয়ে যান কোটিপতি

    অভিযোগ সূত্রে আরো জানাযায়,

    আশরাফ আলী ছিলেন হতদরিদ্র জেলে পরিবারের সন্তান। চাকরীতে যোগদানের পূর্বে গোটা পরিবার আসমানীদের মতোই জীবন জাপন করতেন। সম্পত্তি বলতে থাকার মতো একচিল্তে বসত ভিটা ও একটি খরের ঘর।

    অভিযোগের সূত্রধরে সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে জানাযায়, দুর্নীতিবাজ আশরাফ আলীর গ্রামের সেই জরাজীর্ণ খরের ঘর আর নেই। ১৯৯৬ সালে পাঁচ লক্ষ্য টাকার অধিক ব্যয়ে নির্মান করেছেন পাকা ঘর। আশরাফ দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরিতে যোগদানের দু- বৎসরের মধ্যেই সম্পন্ন করেছেন পাকা ঘর। এখানেই শেষ নয়, আশ্রাফের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গেলে বেড়িয়ে আসে ভয়ংকর সব অজানা  তথ্য। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই ৮ বছরে নামে-বেনামে অনুমান

    ৫০ লাখ টাকার ধানি জমি ক্রয় করেন  আশরাফ। এছাড়া ব্যাংকে জমা রাখেন বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। এর’ই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে পটুয়াখালী সদর পৌরসভার বনানী আবাসিক হোটেল সংলগ্নে স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের নামে গড়ে তুলেছেন তুষার ভবন নামে কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল পাঁচ তলা ভবন। এবং ২০০৬ সালে পটুয়াখালী সদরস্থ রুস্তুম মৃধা ব্রীজ সংলগ্ন রিয়াজুল জান্নাত মসজিদের পাশে স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের নামে ক্রয় করেন ৪.৫০ সাড়ে চার শতাংস জমি।

    এছাড়াও সূত্রে আরও জানাযায়, আশ্রাফ নিজ অপকর্মের দৃষ্টি ভিন্ন ক্ষাতে প্রবাহিত করতে নিজ গ্রামের বাড়ীতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘আসাদুজ্জামান তুষার নূরানী এবং হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা’ নির্মাণ করেন। খোজ নিয়ে জানাযায়,আশ্রাফ- মাদ্রাসা ও এতিমখানা’ নির্মাণ ব্যয়ের জন্য কোন সরকারি-বেসরকারি অনুদান পাননি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মাসিক আয় না হলেও খরচ রয়েছে ২০ হাজার টাকা,যা তিনি নিজেই বহন করেন।

    মাদ্রাসার সূত্র ধরে আরো জানাযায়, একই প্রতিষ্ঠানের নামে ২০১৯ সালে পটুয়াখালী চৌরাস্তা সংলগ্নে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন । যাহার জেএল নং ৩৮, এসএ খতিয়ান নং- ২১২৩, দাগ নম্বর ৭৯৬ ও ৮০৪। ও পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের মধ্যস্ততায় ৬ লাখ টাকা বায়না চুক্তিতে একটি জমি ক্রয়ের চুড়ান্ত পর্যায় রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বলেন, নামে-বেনামে আরো অনেক বাড়ি ও  সম্পত্তি রয়েছে দুর্নীতি আশরাফ আলী খানের।

    সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়,আশরাফ আলীর বর্তমান মাসিক বেতন সর্বসাকুল্যে ২৫ হাজার ৫৯৮ টাকা।

    জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিমাসের ব্যয় ২০ হাজার টাকা, নিজ সংসার পরিচালনা ও

    সন্তানদের বিলাসবহুল লেখাপড়ার খরচ সহ-একই সাথে কোটি টাকার জমি ও বিলাসবহুল ভবনেরমালিক হওয়ার উৎস কোথায়।

    সার্বিক বিষয়ে আশরাফ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার মুদি মোনহারী ও ভূসা মালের ব্যবসা ছিলো। কর্মচারী রেখে সেই দোকান আমার স্ত্রী পরিচালনা করতেন। আমি দোকানের আয়ের উৎস থেকে এগুলো করেছি। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অনেকাংশে সত্য নয় মিথ্যা বানোয়াট। আমি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়েও এসব প্রতিষ্ঠান  করেছি।

    আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে বাদী রুহুল আমিনের অভিযোগের ব্যাপারে বাউফল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিচুর রহমান বালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,এসব অভিযোগ সম্পর্কে আমার আগে  জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।বলে তিনি জানান। ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ