পটুয়াখালীতে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও এসএ টেলিভিশনের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং দৈনিক যুগান্তরের পটুয়াখালী দক্ষিণ প্রতিনিধি মো, মোস্তাফিজুর রহমানের উপর পরিকল্পিত ভাবে গত ৯ আগষ্ট বিলাসদাস সহ তার সঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে এমনটাই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা মেলে।
গত (৯ আগস্ট)মঙ্গলবার বিকেলে পটুয়াখালী শহরের কলাতলা বাবরি মসজিদ রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে।উক্ত হামলার শিকার দুই সাংবাদিক অসুস্থ থাকায় কয়েকদিন পরে সিসি টিভি ফুটেজ ভাইরাল হলে ঘটনাটি জনসম্মুক্ষে উঠে আসে।
এই ঘটনায় গত ১১আগষ্ট ২০২২ ই তারিখ পটুয়াখালী সদর থানায় ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী বিলাস দাসসহ চার জনের নামে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং ১৪/২৪৮। তবে, এখনও মামলায় কোন আসামিকে গ্রেফতার হয়নি বলে জানা যায়। তবে অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান, পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ ওসি মনিরুজ্জামান।
এদিকে এই নিন্দনীয় ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবারসহ স্থানীয় সুশিল সমাজও এর তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, পটুয়াখালীর কলাতলা বাবরি মসজিদের পশ্চিম পাশে লন্ড্রির দোকানে কাপর নিতে আসে জহিরুল ইসলাম। এসময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে স্থানীয় কুখ্যাত সন্ত্রাসী বিলাস দাস ও কিশোর গ্যাং এর দলনেতা আসাদুল্লাহ হাসান মুসাসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে যুগান্তর দক্ষিণ প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান ও এসএ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মোঃ জহিরুল ইসলাম গুরুতরও আহত হয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এছাড়াও গত ৯ আগস্ট হামলার একটি সুস্পষ্ট সিসি টিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লন্ড্রি দোকানদার ইদ্রিস বলেন, জহির ভাই আমার কাছে কাপর নিতে আসছে, আমি বাহিরে ছিলাম। চাবি আনতে বাসার সামনে গিয়ে এসে দেখি কয়েকজন লোক তাকে মারছে।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী গোপাল হালদার বলেন, আমি পাশে মোটরসাইকেল নিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম, হঠাৎ বিলাস দাস মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে এসে নেমেই জহির ভাইকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে। এসময় তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে যুগান্তরের পটুয়াখালী দক্ষিণ প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমানের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে তার নাকের বড় ক্ষতের সৃষ্টি এবং শ্বাসনালীতে ফ্যাকচার হয়েছে। দীর্ঘদিন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন তারা।
এদিকে সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে একটি গ্রুপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে নানান ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, একটি মানববন্ধনের মাধ্যমে হামলার শিকার সাংবাদিকদের রাস্তায় পেলে আবারও তাদের উপর হামলা করার উম্মুক্ত নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও একটি ভিডিওতে শোনা গেছে।
এবিষয় ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠ ও দৈনিক বরিশাল সমাচারকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অনেকেই অপপ্রচার চালিয়েছে এবং প্রকাশ্যে জীবননাশের হুমকি দিয়েছে। আমার এখন কিছু হলে তারাই দায়ী থাকবে। আমি আগেও এবিষয়ে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।এবং এই খুনি বিলাসের দৃষ্টিন্তো মূলক সাস্তির দাবী করছি। এ হামলার প্রতিবাদে, নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.