প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২:১৬:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীতে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারনে মৃত্যুর দুয়ারে পৌছেছিলেন দরিদ্র কাজের বুয়া রেহেনা বেগম নামক এক পাইলস রোগী রেহানা বেগম।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে সিভিল সার্জনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন মৃত্যু পথযাত্রী পাইলস রোগী রেহেনা বেগমের ছোট ভাই রিক্সা চালক বাবুল প্যাদা।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, রিক্সা চালক বাবুল প্যাদা পটুয়াখালী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের রুস্তুম মৃধা বাড়ি সড়ক এলাকায় ভাড়া থেকে দীর্ঘদিন শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন এই হতদরিদ্র ।
এ অবস্থায় তার বড় বোন স্বামী পরিত্যাক্তা রেহেনা বেগম দুই শিশু ছেলে – মেয়েকে নিয়ে কোন মতে দিনাতিপাত করে আসছে বাবুল প্যাদা। আনুমানিক দুই মাস আগে রেহেনা বেগম পাইলস রোগে আক্রান্ত হলে বাবুলের স্ত্রী মনিকা বেগম ২২ জুন রেহেনাক নিয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যায়।
এ সময় হাসপাতালে এক অপরিচিত মহিলা ভুল বুঝিয়ে হাসপাতালে পাইলস রোগের ভাল ডাক্তার নাই। ডাঃ সেলিনা রহমান পাইলস রোগের খুব ভালো ডাক্তার। তার চেম্বার পিটিঅাই রোডের পটুয়াখালী ল্যাব এইড ডায়াগনেস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে। বিকালে ননদকে নিয়ে যান। বাবুলের স্ত্রী মনিকা বেগম ২২ জুন বিকালে তার ননদ পাইলস রোগী রেহানাকে নিয়ে ওই সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তার সেলিনা রহমান রেহনাকে দেখ অনেকগুলো টেস্ট করাতে বলে।
পরে টেস্ট রিপোর্ট দেখে ডাঃ সেলিনা রহমান অপারেশন করা লাগবে বলে তিতাস মোড়ে গ্রীনভিউ হসপিটালে ভর্তি হতে বলে। ডাঃ সেলিনা রহমানের কথামতো ২৩ জুন ভর্তি করে রেহেনা বেগমকে। ওই দিনই ডাঃ সেলিনা রেহেনা বেগমকে অপারেশন করেন এবং তার তত্ত্বাবধানে ৭দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অপারেশন ফি, ঔষধসহ মোট ১৬ হাজার টাকা রেখে সুস্থ না হলেও ৩০ জুন ডাঃ সেলিনা রহমান রেহেনা বেগমের নাম কেটে দেয়া হয়। বাসায় নেয়ার পর রেহানা বেগমের অবস্থার অারো অবনতি হলে ডাঃ সেলিনা রহমানের সাথে দেখা করলে তিনি ঔষদ লিখে দিয়ে বলেন এ ঔষুধ খেলে ভালে হয়ে যাবে। এ ঔষুধ খাওয়ালেও অবস্থার আরও অবনতি হয়ে যায়। এমনটাই জানায় ভুক্তভোগীর পরিবারটি।