প্রতিনিধি ৬ নভেম্বর ২০২১ , ১১:১৩:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন বড়বিঘাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বহনকারী মোটর সাইকেল চালক মাসুদ ব্যপারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে বড়বিঘাই এলাকায় একটি রাস্তার পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে থানাপুলিশ।ঘটনাসূত্রে জানাযায়, নিহত মাসুদ ঐ এলাকার আঃ লতিফ বেপারির ছেলে।। তিনি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক হিসাবে একমাস যাবৎ চেয়ারম্যানকে বহন করে আসছিলো বলে স্থানীয়রা জানান।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোষ্টমর্টেমের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে সদর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান মেহেদী একথা নিশ্চিত করেছেন।এব্যপারে বড়বিঘাই ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমানে নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী অহিদুজ্জামান মজনু জানান, ৬ই নভেম্বর শনিবার বিকাল ৪টায় বড়বিঘাই ইউনিয়নের অফিসের হাট মাঠে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে নৌকা মার্কার সমর্থনে উঠান বৈঠক হবার কথাছিল।
যে বৈঠকে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার বিষয়টি কনফার্ম করে রাতে শহর থেকে বাড়ী ফিরছি। এসময় রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে আমার কর্মী সত্তার হাওলাদারকে তার বাড়ীতে মোটরসাইকেলে পৌছে দিয়ে আসে মাসুদ ব্যপারী। এরপর আর ওর সাথে যোগাযোগ হয়নি। তিনি জানান, আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন আমাকে খবর দেয় যে, মাসুদের লাশ ডোবার মধ্যে পড়ে আছে।
আমি গিয়ে দেখি গনি শিকদারের বাড়ীর পাশে (শ্যামল ডাক্তারের বাড়ীর সামনে) রাস্তার পশ্চিমপাশে ডোবার মধ্যে মাসদু বেপারির মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। মজনু মোল্লা জানান, মাসুদের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মজনু মোল্লা জানান, নির্বাচন উপলক্ষে আমার ৫টি মোটরসাইকেল চালকের মধ্যে মাসুদই ছিল সবচেয়ে নম্র, ভদ্র ও সাহসী। নির্বাচনে পক্ষ বিপক্ষ থাকবে তাই বলে এভাবে একজনকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া ূ এটা কোন ধরনের রাজনীতি, প্রশ্ন করেন মজনু মোল্লা।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মনিরুজ্জাামান জানান, রাস্তার পাশে মাসুদের মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে খোজাখুজির পর কিছুদুরে ডোবারমধ্যে মাসুদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার মাথায় ধারাল কোন কিছুর কোপের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পোষ্টমর্টেমের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে না। এ ব্যাপারে পুলিশের একাধিক টিম সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে। আমরা প্রযুক্তিগত তথ্যও সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। আশা করি প্রকৃত কারণ উদঘাটন স্বল্প সময়ের মধ্যেই করতে পারবো। উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে পটুয়াখালী সদরের বড়বিঘাই ইউনিয়নেও ভোট গ্রহন হবে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পরবর্তী সংখ্যায় আমাদের সাথেই থাকুন।