• আইন ও আদালত

    পটুয়াখালী’তে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যর অর্ধ আত্মসাৎ।

      প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২২ , ৪:৪১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা সৈনিক ফারুক হোসেন চৌকিদারের অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো,ফারুক হোসেন চৌকিদার এর পূর্ব পরিচিত সদর পৌরসভার টাউন কালিকাপুর ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত চেরাগ আলী আকনের ছেলে এম,এ আলীম আকন ব্যবসায়ীক প্রলবন দেখিয়ে এই আত্মসাতের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তিরা এমন অনেক স্থানীয় জনসাধারণ বলেন,

    প্রতারক এম,এ আলীম আকন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক সহ অসংখ্য মানুষ তার প্রতারনার শিকার হয়ে হারিয়েছে সর্বস্ব্য। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীক প্রলবন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর উল্টো গায়েবি মামলা দিয়ে করছে ভিটে মাটি ছাড়া।
    এবিষয় অভিযোগকারী সেনা সদস্য ফারুক হোসেন মৃর্ধা জানান,দির্ঘদিন যাবৎ তার সাথে আমার ব্যবসায়ী সম্পর্ক থাকায়। ব্যবসায় আমি পেনসনের গচ্ছিত টাকা ব্যাংক থেকে নগদ ২৫ লক্ষ ও দুইটি প্রটের জমি যার বাজার মুল্য পঞ্চাশ লক্ষ টাকা সর্বমোট ৭৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই আলিম আকন।

    যার স্বাক্ষী আমার শুভাকাঙ্ক্ষী একাধিক লোক রয়েছে। আমি প্রধান মন্ত্রী কাছে সু বিচারের দাবী জানাই,পাশাপাশি জেলার উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জোড় হস্তক্ষেপের কামনা করছি। উক্ত ঘটনার বরাত দিয়ে অভিযুক্তকারী আলীম আকন দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠকে বলেন,জাতীয় পার্টি দল করার সুবাদে তার সাথে আমার পরিচয়।আমার সাথে কোন প্রকার ব্যবসায়ী সম্পর্ক নেই তার সাথে। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেছে সমাজে হেওপ্রতিপন্ন করেছে। তার জমি আমি ক্রয় করেছি টাকাও দিয়ে দিয়েছি উল্টো আমার কাছ থেকে ধার দু’লক্ষ টাকা নিয়েছে তা আজ অব্দি ফেরত দেয়নি। তার ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে।

    আমি তাকে কোন প্রকার মামলায় জড়ায়নি তিনি তার কু-কর্মের কারনে নিজেই মামলায় জড়িয়েছে। এবিষয়ে আপনারা পটুয়াখালী সদর থানার এস,আই, আনোয়ার ও এস,আই ইব্রাহীম তদন্ত করেছে তার সাথে আলোচনা করলে সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে যাবেন বলে জানান। এ নিয়ে ৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো,দেলোয়ার আকন জানান, টাকা পয়সা লেনদেন ও গায়েবি মামলা সম্পর্কে আমি লোকমুখে শুনেছি। তবে যে অপরাধের সাথে জড়িত তার অপরাধের সাজা তারই পাওয়া উচিত বলে জানান তিনি।

    সার্বিক বিষয় মামলার তদন্তকারীর অফিসার সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, এতো অনেক আগের মামলা। আমি সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে মামলার রিপোর্ট কোর্টে পেশ করেছি মামলা আগেই খালাস হয়ে গেছে। তবে এতটুকু বলতে পারি হেতালিয়ার ফারুক চকিদার( মাষ্টার) লোকটা সুবিধা জনক নয়,নারী নির্যাতনের যে মামলাটি হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে দায়সারা জবাব দেয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ