প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ১১:৫২:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিউজ ডেস্কঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুর ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালটের পাঁচটি মুড়ি ও একটি সিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পেছন থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ওই ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি নেতা মো. বাহারুল আলম সুমন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনের দুদিন পর কেন্দ্রের পাশে ব্যালটের মুড়ি ও সিল পড়ে থাকায় তারা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্দেহ করছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলের দাবিতে মিছিলও করেছেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের দপ্তরি ময়লা ফেলার জন্য বিদ্যালয় ভবনের পিছনে গেলে ব্যবহৃত ব্যালটের পাঁচটি মুড়ি ও সিল পায়। এরমধ্যে তিনটি চেয়ারম্যান, একটি সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও একটি সাধারণ মেম্বারের ব্যালটের মুড়ি ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রাহাত তানভির চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী অভিযোগ দেয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে মুড়ি ও সিল রিটানিং কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিবেন। রিটানিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিলে এ ব্যাপারে তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে। ওই কেন্দ্রের ফলাফলের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
আমান উল্যাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বাহারুল আলম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তিন হাজার ১০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা পেয়েছেন দুই হাজার ৮৯১ ভোট। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরিফুর রহমান মাহমুদ এক হাজার ৭০৫ ভোট পান।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা বলেন, কেন্দ্র দখল করে জোর করে ব্যালটে সিল মেরে বিজয়ী হয় মো. বাহারুল আলম। যার প্রমাণ আজকের পাঁচটি মুড়ি ও সিল উদ্ধার। অবিলম্বে এ কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানাই।