প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২২ , ১০:১৮:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, বৃক্ষ রোপণ, গাছের চারা ও পুরুাস্কার বিতরন এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সোমবার (১৫ই আগস্ট) সকাল ১১টায় নীলফামারী শিশু পরিবার (বালক) এবং দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’র যৌথ আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কর্মসূচি শেষে বৃক্ষ রোপন ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
উক্ত কর্মসূচিতে শহর সমাজসেবা অফিসার হৃদয় হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ এমদাদুল হক প্রামানিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ আবুল হাসেম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার মোঃ ফরহাদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার রতন কুমার রায়।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর শাদীদ মোঃ মুনতাসির এলাহী, হিসাবরক্ষক মোঃ মনোয়ার হোসেন, দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’র সভাপতি আব্দুল মোমিন প্রমুখ। এছাড়াও এসময় শিশু পরিবার কর্মকর্তা/কর্মচারী, দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’র সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বড় মাপের মানুষ ছিলেন। তাই তো ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি, শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখেছি। জাতির পিতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার পরিবারের প্রায় সবাইকে একযোগে হত্যা করা হয়েছিল।
সেদিন ভাগ্যক্রমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুক পরিবার পরিজনসহ ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যে কারণে এ দিনটি আমাদের শোকের দিন। তিনি বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে আমরা দেখেছি একজন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই এই স্বাধীনতা এনে দেয়া পরিবারটিকে একবারে নিঃশেষ করে দেয়া হয়। যা ইতিহাসে চরমভাবে ঘৃণিত।
বক্তারা আরও বলেন, যে মানুষটি মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বাঙালির অধিকার আদায়ে জেল খেটেছেন তাকেই বাঙালিদের হাতে খুন হতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বনেতা ছিলেন, বঙ্গবন্ধু এখনও বিশ্বনেতা হিসেবেই আছেন। তার ওই বজ্রকণ্ঠ এখনো আমাদের কানে বাজে। আজ সত্যিই কালো দিন, আজ আমাদের কষ্টের দিন। শুধু শোক দিবসই নয়, প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের একটু একটু করে কাজ করা উচিত।