নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা চাওড়া ডাঙ্গী আলোর বাজারের মোঃ শহিদুল ইসলামের মেয়ে সাহিনা আক্তার জলঢাকা পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোঃ মাহাফুজার রহমান কর্তৃক প্রতারনার স্বীকার হয়েছে। প্রতারনার স্বীকার হয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন ভুক্তভোগী সাহিনা আক্তার। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত ২৫/০২/২০১৯ ইং তারিখে মৃত. নুরুল হকের ছেলে মোঃ মাহাফুজ হাসান এর সহিত সাহিনা আক্তারের সাথে মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিননামা মুলে ১৩লক্ষ ৫হাজার ১ শত ৫ টাকা দেনমোহররানা ধার্য করিয়া সম্পুন্ন টাকা বাকি রাখিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
বিবাহের পর হইতে স্বামী স্ত্রী রুপে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করিতে ছিলাম। আমার স্বামীর ওরষ জাতক ও আমার গর্ভধারী একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তার নাম মোবাশিরা আক্তার জান্নাতি এমন অবস্থায় আমার স্বামী তার পরিবারের লোক জনের কুপরামর্শে প্রায় সময় আমার উপর কারনে অকারনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ বিষয় আমি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করি। অতপর বিবাহ লেখক কাজী মোঃ মাহাফুজার রহমান আমার নিকট নিকাহনামার অবিকল একটি নকল প্রদান করেন তাহাতে ১৩ লক্ষ ৫ হাজার ১ শত ৫ টাকা সম্পুর্ন টাকা বাকি লেখা আছে এবং আমার স্বামীর নিকট একটি আমার নিকাহনামার অবিকল নকল দায়ের করেছেন। সেখানে আমার মোহরানা সম্পুর্ন টাকা পরিশোধ দেখান হয়েছে।
শাহীনার বাবা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে বিবাহ সময় মোহরানা বাবদ একটি টাকা ও স্বর্ণালংকার দেয় নাই। দশ মজলিসের সামনে বিবাহ সম্পুর্ন হয়েছে। কাজী মোঃ মাহফুজার রহমান ছেলের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে দুই ধরনের নকল দিয়েছে। আমার মেয়ে মত অন্য কার মেয়ের জীবন এরকম ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য আমি তারা উপযুক্ত বিচার চাই। বিবাহ সাক্ষী সাইদুল ইসলাম, সুলতান আলী, উকিল ওহিদুল ইসলাম ও মাওলনা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিবাহর দিনে টাকাপয়সা ও সর্ণালংকার মেয়েকে আমাদের উপস্থিতিতে কোন কিছু দেওয়া হয় নাই। উক্ত বিবাহের মোহরানার বিষয়টি কাজী মোঃ মাহফুজার রহমান কাছে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, আমি দুজনকে দুইটি নকল দিয়েছি। প্রতারনার করার বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। জেলা রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলের, বিষয়টি তদন্তধীন আছে, তদন্তের প্রতিবেদন এলে ব্যবস্থ নেওয়া হবে। জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.