• রংপুর বিভাগ

    নীলফামারীতে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব’ বিষয়ক সেমিনার

      প্রতিনিধি ১২ নভেম্বর ২০২২ , ২:২৩:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    নীলফামারী প্রতিনিধি:

    নীলফামারীতে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব’ বিষয়ক সেমিনার নীলফামারীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১০ই নভেম্বর) সকাল ১০টায় ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেশব্যাপী উৎপাদনশীলতা বিষয়ক অবহিতকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মুহম্মদ মেসবাহুল আলম মহোদয় মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), এনপিও, শিল্প মন্ত্রণালয়।

    নীলফামারী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জেসমিন নাহার। আলোচক ছিলেন, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শফিকুল ইসলাম ডাবলু, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ শামসুল ইসলাম,
    পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মণ, জেলা ক্রীড়া অফিসার আবুল হাসেম, শহর সমাজসেবা অফিসার হৃদয় হোসেন,নআইসিটি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার রতন কুমার, নীলফামারী মডেল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় পরিচালক ও জেলার সভাপতি হাকীম মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, নীলফামারী জেলার জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) সভাপতি আব্দুল মোমিন।

    সেমিনারে অতিথিবৃন্দ বলেন, উন্নত দেশে পরিণত হতে উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। জনশক্তিকে দক্ষ করে তুলতে সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। শিল্পখাতের জন্য প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরির কার্যক্রম অব্যাহত আছে। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী উভয়কে আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ শেষে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজে নিযুক্ত হতে হবে। দেশে দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাব থাকায় বিদেশিরা বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। বাংলাদেশের বৃহৎ তরুণ জনগোষ্ঠী কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ হলে দেশের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া সুনিশ্চিত। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে যোগ্যতার মাধ্যমে নিজের অবস্থান তৈরি করতে হবে।

    সেমিনারে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়- দক্ষ জনশক্তির অভাব, মেধা পাচার, মানসম্মত কাঁচামালের অভাব, উৎপাদন পদ্ধতি আধুনিক না হওয়া এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে বাংলাদেশ মানসম্মত উৎপাদনশীলতা অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে। উৎপাদনে সঠিক প্রযুুক্তি ও মানসম্পন্ন পরিচালন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব ও সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার,রোবটিক ন্যানোটেকনোলোজি ও আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেনস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারের মতে ২০৫০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার এক দশক ধরে ছয় শতাংশের ওপরে আছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মুজদ এখন ৩৯ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (নাসিব) নীলফামারী যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক ও উর্ধবতন গবেষণা কর্মকর্তা, এনপিও, শিল্প মন্ত্রণালয়। এসময় জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) এর উদ্যোক্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে নীলফামারীতে চ্যালেঞ্জ, উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের স্বল্পতা, বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার ঘাটতি ও কাঁচামালের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ