প্রতিনিধি ৪ নভেম্বর ২০২১ , ৯:২৭:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
উজ্জ্বল আহমেদ-নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ১১নভেম্বর ২০২১ইং ইউপি নির্বাচনে নীলফামারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে জোরেসোরে প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার প্রচারণার বিধি থাকলেও চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী কেউ তা মানছেন না।
দুপুর ১২টা থেকেই অধিকাংশ প্রার্থী তার প্রতিক নিয়ে প্রচারণায় নামছেন এবং রাত ৮টার পরেও মাইক ব্যবহার করে তাদের নিজ নিজ প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার নীলফামারীর লক্ষীচাপ, পলাশবাড়ী, রামনগড় ও চওড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় একযোগে কমপক্ষে ৭/৮টি মাইক নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
মাইকের বিকট শব্দে এক অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।আগামী ১৪নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষাথী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় ভীষণ বিঘগ্ন ঘটছে।রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এমনকি অনেক প্রার্থী রাত ১০পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে ব্যবসায়ী ও এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া অধিকাংশ প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল ও মোটরসাইকেল মহড়ার হিড়িক চলছে।চেয়ারম্যান প্রার্থী বিভিন্ন মেম্বার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘন করে দেয়ালেও গাছে পোষ্টার লাগানোর অভিযোগ রয়েছে।বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, সরকার দলীয় প্রার্থীর নৌকা প্রতীক এবং মেম্বার প্রার্থীদের পোষ্টার বিভিন্ন দেয়াল ও গাছে লাগিয়ে দেয়া ।
এসব ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত। অথচ নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোন পদক্ষেপ নেই বলে একাধিক ব্যক্তি জানান। মোটরসাইকেল মহড়ার বিকট শব্দে ছোট শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে বলে এলাকার জনসাধারণ অভিযোগ করেন।এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ আচরণ বিধি মোতাবেক কোন প্রার্থী মটরসাইকেল র্যালি দিতে পারে না। আইন অমান্য করে প্রচার প্রচারণা চালালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আচরণবিধি লংঘনের এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#