প্রতিনিধি ১৮ অক্টোবর ২০২২ , ২:৫০:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
আবুবকর মিল্টন বাউফল পটুয়াখালী:
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাউফল-দশমিনা উপজেলা নারী সদস্য পদে মোসা. রুবিনা আক্তার (সংরক্ষিত নারী) নামের এক মহিলা সদস্য হেরে গিয়ে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরৎ চান। টাকা চাওয়ার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়। সোমবার রাত ১০টার দিকে বাউফল উপজেলার বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটলে,
জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যাপক নিরপত্তার মধ্যদিয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটে নারী সংরক্ষিত সদস্য পদে দোয়াত কলম প্রতীকে কামরুন নাহার, হরিণ প্রতীকে পশারী রানী, টেবিলঘড়ি প্রতীকে মিসেস ফাতেমা আলম ও ফুটবল প্রতিকে মো. রুবিনা আক্তার প্রতিদ্বন্দীতা করেন। এর মধ্যে দোয়াত কলম প্রতীক কামরুন নাহার ১৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হলে নিকটতম প্রতিদন্ধি প্রার্থী হরিণ প্রতীকে পশারী রানী ১২০ ভোট পেয়ে হেরে যান। অপর দিকে ফুটবল প্রতীকে রুবিনা আক্তার ৩৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ভাইরাল ওই ভিডিও ফুটেজে রুবিনা আক্তারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভোটারদের ২হাজার করে টাকা দিয়েছি।
তাঁরা টাকা নেওয়ার সময় আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল আমাকে ভোট দিবে। কিন্তু তাঁরা অনেকেই আমাকে ভোট দেয়নি। যারা আমাকে ভোট দেয়নি তাঁরা অনেকেই আমাকে টাকা ফেরৎ দিয়েছেন। তাঁরা বলেছে আপা আপনি মন খারাপ কইরেন না। আমি অনেক কান্না কাটি করেছি। কিন্তু এই মেম্বার (ইউপি সদস্য) আমাকে টাকা ফেরৎ দিতে দিচ্ছেন না। বরং অপমান করছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে অভিযুক্ত ওই মেম্বারকে দেখা যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন আনিচুর রহমান নামের এক মেম্বারের কাছে তিনি টাকা ফেরৎ চেয়ছিলেন। আনিচ দাসপাড়া ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক ভোটার এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে । আর এই প্রার্থী দিয়েছেন দুই হাজার টাকা! সে কিভাবে ভোট পায়। তবে এ বিষয়ে একাধিকবার রুবিনা আক্তারকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি। বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, নির্বাচনে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন অবৈধ। এ বিষয়ে যদি কেহ লিখিত অভিযোগ দেয়। তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।