প্রতিনিধি ৩১ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:১০:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
আসিফ খন্দকারঃ
পুরো নাম তামান্না ইয়াসমিন শিখা।গোবিন্দগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী।পিতা মোঃশুকুর আলী।মাতা মোছাঃ ছকিনা বেগম। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাবা মা ও বড়বোন শারমিন কে নিয়ে তার বসবাস।বয়স যখন মাত্র পাঁচ তখন থেকেই নাচে হাতেখড়ি হয়েছিল তামান্নার।প্রথম নাচ শেখা গোবিন্দগঞ্জের সাবেক এমপি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অগ্নিবীণা সঙ্গীত নিকেতন থেকে।প্রথম দুজন গুরু এম আর ওয়াসেক স্যার ও আল-আমিন স্যার।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা,বিভাগীয় পর্যায়ের অগণিত প্রাপ্তিগুলোর পরে তামান্নার ঝুলিতে এসে যোগ হয়েছে একাধিক জাতীয় পুরস্কার। বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর প্রতিযোগিতা ২০১৫,বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা পুরস্কার ২০১৭,শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৮,বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা পুরস্কার ২০১৯।শুধু জাতীয় পুরস্কারেই থেমে থাকেনি সে।বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ২০১৮ সালে অংশ নেয় ভারতের International Dance Festival এ।
এরপর কোভিডের কারণে ঘরবন্দী হয়ে পড়ে সবাই।কিন্তু মেধাকে কি আর ঘরে আটকে রাখা যায়!আটকানো যায়নি তামান্নাকেও।বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন রিয়েলিটি শো
‘স্বপ্নসিঁড়ি ২০২১’ এ অংশ নেয় সে।স্থান পায় টপ ১২ তে। এখানে তার পারফরম্যান্স দেখে দেশের সেরা ড্যান্স একাডেমি গুলোর একটি আলিফিয়া স্কোয়াড থেকে ২ বছরের স্কলারশিপ দেওয়া হয় তাকে।এখানে সে শিখেছে জাজফাঙ্ক, বলিহপ, কনটেমপোরারি, ইয়োগা সহ নাচের বিভিন্ন ধরন।
তামান্না তার নাচ সম্পর্কে বলে,”ছোটবেলা থেকেই আমার বড় আপু এবং আমার মা সাপোর্ট করেন এসব বিষয়ে।আমার এতদূর আসার পেছনে আমার মা এবং আপুর অবদান অনেক।আমার বড় আপুর হাত ধরেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আসা হয় আমার।তারপর থেকে সবকিছুতে অংশ নিতে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে আসছেন আমার মা।বাবা প্রথমত সাপোর্ট করতেন না। তবে পরে এসে বাবাও অনেক সাপোর্ট করেন আমাকে।পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া আমার এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিলো।”
তামান্নার মা মোছা: ছকিনা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,”শিখার মধ্যে ছোটোবেলাতেই প্রতিভা দেখতে পায় আমার বড় মেয়ে শারমিন।যখন দেখলাম সে সব অনুষ্ঠানে ভালো পারফর্ম করছে তখন সমাজ কি বলবে সেই চিন্তা না করে মেয়েকে সাপোর্ট করি।শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়ায় আজ এতদূর আসা।”
পুরস্কার প্রাপ্তির পাশাপাশি অনলাইন দুনিয়ায়ও নাচের জন্য ব্যপকভাবে সমাদৃত তামান্না।তামান্নার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা এবং নাচের দুনিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা। দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদের পক্ষ থেকে এই উদীয়মান তারকার জন্য শুভ কামনা রইলো।