প্রতিনিধি ২২ জানুয়ারি ২০২২ , ৪:৪১:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টার:
করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় পড়েছিল। পুর্ণাঙ্গ সেশন সমাপ্ত না করেই রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রম চলমান রেখে পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের হঠকারী এ সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। বানিজ্য মেলা, স্থানীয় নির্বাচন, খেলাধুলা, গণ পরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টসসহ বাংলাদেশে সকল কার্যক্রম চলমান। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির ইতিপূর্বে স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।
আজ ২২ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার সকালে বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত প্রেসক্লাবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ -এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী শাবিপ্রবির ভিসি-পুলিশ ও ছাত্রলীগের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবীর সাথে একমত পোষণ করছি। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশে দেশে পরিকল্পিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে শিক্ষাব্যবস্থা চলমান রেখেছে কিন্তু বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা করোনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করে ভিন্নমত দমনে তৎপর রয়েছে। শাবিপ্রবি, ঢাকা আলিয়াসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলন দমিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে বলেও শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
নূরুল করীম আকরাম বলেন নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিয়ে সরকারকে তামাশা বন্ধ করে অতিসত্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করে তা খুলে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।বক্তব্য শেষে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল মহানগরে ২০২২ সেশনের জন্য আব্দুল্লাহ আল মামুন কে সভাপতি, মুহা. জাহিদুল ইসলাম সহ-সভাপতি ও তানভীর আহমেদ শোভন কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক- মুহাম্মাদ ইবরাহীম মৃধা, বিশেষ বক্তা সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কে. এম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় উপ-সম্পাদক (সাংগঠনিক বিভাগ) গাজী মুহাম্মাদ আলী হায়দার, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য- এস. এম ছাব্বির রহমান ও এস. এম তৌহিদ বাশার।