প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ , ৫:০৯:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বেল্লাল হোসেন বাবু-নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার সকল ইউনিয়ন বাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আবুল কালাম। বিজয় দিবসের এক শুভেচ্ছা বানীতে তিনি জানিয়েছেন,৫২ বছর আগে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি,এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে এসেছিল বাংলার স্বাধীনতা।এই দেশে উদিত হয়েছিল নতুন এক সূর্য। সে সূর্যের কিরণে লেগে ছিল রক্ত দিয়ে অর্জিত বিজয়ের রঙ।সেই রক্তের রঙ সবুজ বাংলায় মিশে তৈরি করেছিল বাংলার লাল সবুজ পতাকা।
যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের ৭ ই মার্চ ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে জাতিকে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই পরাজয় মেনে নিয়ে মাথা নত করে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্র সমর্পন করেছিল বাঙালি জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে স্মরণ সেই সব শহীদদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা।
স্মরণ করেন সেই সব বীর সেনানীদের যারা শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যেসব নর-নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সম্মান জানান তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন,মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ প্রাণের আত্নদানে পরাধীনতার লৌহকঠিন শৃংখল ভেঙ্গে লাল সবুজের পতাকা উড়েছে এই পলল ভুমিতে,পৃথিবীর মানচিত্রে আমরা পেয়েছি এক অনবদ্য পরিচয়। স্বাধীনতার দীপ্ত শ্লোগানে মুখরিত সেই মহান বিজয়ের মাসে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সেই সকল অকুতোভয় বীর সেনানী আর সম্ভ্রমহারা মা, বোনদের,যাদের অদম্য সাহস আর আত্নত্যাগের সোপান বেয়ে বিজয় এসেছে।
মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরনীয় দিন।দীর্ঘ নয় মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙ্গালী জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। এলো হাজার বছরের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি অর্জন করলো তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার।বিজয়ের ৫১বছর পেরিয়ে এবার আসছে ৫২তম বিজয় দিবস।বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের বিজয় দিবস আসছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে সবাই সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আমরা বিজয় দিবস পালন করবো।আগামী২০২৩ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ।