• Uncategorized

    নওগাঁর মহাদেবপুরে বিনামূল্যে সার ও বীজ পেয়ে আউশ ধান চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা

      প্রতিনিধি ১৭ জুলাই ২০২০ , ১:২৩:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শহিদুল ইসলাম-নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

    ১৭/৭/২০ ইং নওগাঁর মহাদেবপুর দেশের উত্তরাঞ্চলের খাদ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত মহাদেবপুরে বিনামূল্যে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ পেয়ে কৃষকরা আউশ ধান চাষ করছেন।

    বর্তমানে ক্ষেত পরিচর্যা ও অধিক ফলনের প্রত্যাশায় দিন-রাত ফসল ফলানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আউশ চাষে খরচ কম এবং ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় প্রতি বছরই উপজেলায় বাড়ছে আউশ চাষ।করোনার প্রভাবে খাদ্য-শস্যের সংকট মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় কৃষকরা সংগ্রামে নেমেছে।

    কৃষকরা যাতে করোনা মোকাবেলা করে ফসল ঘরে তুলতে পারেন এজন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। তাঁরা কৃষকদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের প্রণোদনাও দিচ্ছেন।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবার আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮০ হেক্টর। সেখানে আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে।

    লক্ষ্য মাত্রার শতকরা হার ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ। যা গত বছরের চেয়ে ৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর বেশি। কৃষি বিভাগ আউশের প্রণোদনা হিসেবে ১ হাজার ২০০ জন কৃষককে ৫ কেজি উন্নত জাতের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ও এমওপি (মিউরেট অফ পটাশ) সার সরবরাহ করছেন।

    কৃষি বিভাগ আশা করছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আউশের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।কৃষক কফিল উদ্দিন, ইলিয়াছ, আব্দুল গফুর, লোকমান ও বাছের আলী জানান, গত বোরো মৌসুমে কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচর্যা করে প্রত্যাশা মত ভাল ফলন পেয়েছেন এবং বাজারে ধানের দামও বেশি পাচ্ছেন। কয়েক বছর থেকে ধান চাষ করে লোকসান হলেও বোরো মৌসুমে একটু লাভ হয়েছে। এবার বিনামূল্যে সার ও বীজ পাওয়ায় আউশ ধান আবাদে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

    তারা আরও জানান, করোনার প্রভাবে দেশে যাতে খাদ্য ঘাটতি না হয় এজন্য তারা ফসলের প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছেন। সরকার ঘোষিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্ষেতের কাজ করার চেষ্টা করছেন এবং নিয়মিত ক্ষেত পরির্চযা ও সেচ দিচ্ছেন। এবারের আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। আবহাওয়া এমন থাকলে ফলন ভাল হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

    উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, ‘কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় আউশ চাষে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগের লোকজন সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন। আউশের প্রণোদনা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা যতক্ষণ ফসল ঘরে না তুলছেন ততক্ষণ কৃষি বিভাগ তাদের পাশে থাকবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ