• আইন ও আদালত

    দৌলতপুরে কুপিয়ে দুই হাত বিচ্ছিন্ন করলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

      প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২৪ , ৯:৩৫:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ জহুরুল ইসলাম-কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:

    কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নে দৌলতপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল মোল্লা (সাবেক আহবায়ক, দৌলতপুর ছাত্রলীগ) এর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলায় মইনুর প্রামানিক (৪২) নামে এক অটোচালককে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা আহত মইনুরের দুই হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন । শুক্রবার (০৯ আগষ্ট) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার বালিরদিয়া ছাতারীপাড়া বক্কর মোল্লার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মইনুর প্রামানিক(৪২) মরিচা ইউনিয়নের বালিড়াদিয়াড় গ্রামের মৃত গাজী প্রামানিক ছেলে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতা এবং আহত মইনুর প্রামানিকের ছেলে তামিম আহমেদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে জড়িত থাকায় এই হামলা বলে অভিযোগ উঠেছে শুক্রবার রাতে আল্লাহরদর্গা বাজার থেকে নিজ বাড়ি বালিরদিয়াড় ফেরার পথে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সাবেক আহবায়ক, দৌলতপুর ছাত্রলীগ) চঞ্চল মোল্লা ও আলম মোল্লার নেতৃত্বে অন্যান্য আওয়ামিলীগকর্মী  শিপুল মোল্লা, ইউসুফ মোল্লা হাতের উপর কোপ মারে।

    এছাড়াও রাজীব মোল্লা, জাদু মোল্লা, সোহেল মোল্লা, বক্কর মোল্লা ও  জানবার মোল্লার ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়।  স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মইনুরকে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।

    এবিষয়ে আহত মইনুর রহমানের ছেলে তামিম জানান, আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ১ম বর্ষের ছাত্র। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিলাম। এরই জেরেে শুক্রবার (০৯/০৮/২০২৪ তারিখে) আনুমানিক রাত ১০.০০ টার সময় আল্লাহরদর্গা বাজার থেকে নিজ বাড়ি বালিরদিয়াড়ে মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে বাড়ি পৌছানোর আগে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সাবেক আহবায়ক, দৌলতপুর ছাত্রলীগ) চঞ্চল মোল্লা ও তার নেতৃত্বে  অন্যান্য আওয়ামিলীগকর্মী যথাক্রমে আলম মোল্লা, শিপুল মোল্লা,

    ইউসুফ মোল্লা,  রাজীব মোল্লা, জাদু মোল্লা, সোহেল মোল্লা, বক্কর মোল্লা ও  জানবার মোল্লা মিলে আমার পিতা মইনুর রহমান (মরিচা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা)-কে চাপাতি, রামদা ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং দুই হাত  বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আমার বাবাকে প্রথমে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে এবং পরবর্তীতে সেখানে থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে জীবন মৃত্যু সন্ধিক্ষণে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই নৃশংস হামলার তদন্তক পূর্বক সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসির) সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ