প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৯:৩৪:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস ম্যানেজ করে, প্রায় অর্ধশত অবৈধ ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় দেবীদ্বারে ফসলি জমি রক্ষা ও অবৈধ ড্রেজার মেশিনের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার সুযোগ করে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড রায়হানুল ইসলাম। একাধিক বার অবগত করেও কেউ কোন প্রতিকার পায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ড্রেজার মালিক জানান এসিল্যান্ড অফিসের সুমন নামের একজন ব্যাক্তি তাদের কাছ থেকে এসিল্যান্ডের নামে টাকা নিয়ে যায়, এতে করে তারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড কতৃক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। যখন অভিযান হয় আধাঘন্টা আগেই তাদের সতর্ক হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়া হয়, তখন তারা ড্রেজার মেশিন বন্ধ করে দুরে কোথাও অবস্থান করেন, এরপর এসিল্যান্ড এসে লোক দেখানো অভিযানে দুই একটি পাইপ ভেঙে চলে যায়। তিনি চলে গেলে আবার ড্রেজার মেশিন চালিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া সাংবাদিক, পুলিশকেও তারা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে থাকেন। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান উপজেলা প্রশাসন জেল জরিমানা সহ মেশিন জব্দ বা বিনষ্ট না করে লোক দেখানো অভিযানে ড্রেজার মেশিন বন্ধ ও ফসলি জমি রক্ষা করা সম্ভব নয়। এ দিকে কৃষি জমির মালিকরা বলেছেন, প্রশাসনের দৃশ্যমান ভূমিকা ও ভূমিখেকো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা না দেওয়ার কারণে স্থায়ী ভাবে ড্রেজার ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না। আবার অনেক গ্রামে কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মুল্যে তাদের কাছ থেকে ৩ ফসলি কৃষি জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। কিছু রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার দালাল প্রকৃতির লোকদের ছত্রছায়ায় ভূমি খেকো চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যার ফলে নিরীহ কৃষকরা বাধাঁ দিলেও হুমকি ধমকির শিকার হচ্ছেন। অনেকে আবার মনে করেন, প্রশাসন ড্রেজার ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। অথবা প্রশাসনের চোর-পুলিশ খেলার কারণে কোন ভাবেই অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরীহ কৃষক বলেন, রাজামেহার গ্রামের ইব্রাহীম পাঠান সফু, মনির হোসেন, শাহরিয়ারের ড্রেজারের পাশেই আমার বাড়ি, আগে ড্রেজার গুলো শুধু দিনের বেলায় চলতো, এখন দিন রাত ২৪ ঘন্টা চালায়। প্রচন্ড শব্দে আমরা ঘুমাতে পারিনা। ভয়ে কিছু বলতেও পারছিনা। এরা টাকার জন্য মানুষ খুন করতেও দ্বিধা করবে না। প্রশাসন ড্রেজার মেশিন ও পাইপ যদি ভালো ভাবে ভাঙ্গতো বা বিনষ্ট করতো দ্বিতীয়বার কেউ এ ব্যবসা করার সাহস পেত না। প্রশাসনের সাথে লিয়াজো থাকায় ড্রেজার মেশিন ও পাইপ নামমাত্র ভাঙ্গে। যার ফলে আমাদের কৃষি জমি নদীতে পরিনত হচ্ছে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে দেবীদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হানুল ইসলাম একটি বাক্যই জানিয়ে দেন বিষয়টি আমি দেখতেছি, এ-যেন দেখেই চলছে অবৈধ ড্রেজার। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কবিরুল আলম জানান ফসলি জমি রক্ষা করতে, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক তৎপর। আমি নিজেও এসিল্যান্ডকে অবগত করেছি, কেন বারবার বলার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি আমি এখনই মুঠোফোনে কল করে জানবো।