প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:৫৭:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মো আরিফুর রহমান অরি-মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এর কাজ দু, দফা বন্যা ও বৃষ্টিতে থেমে নেই ! সব বাধা অতিক্রম-করে চলছে ডেডিকেটেড সার্ভিস লেন নির্মাণ, মূল সড়ক প্রশস্তকরণ, হার্ডশোল্ডার নির্মাণ, পেভমেন্ট সার্ফেসিং,নিরাপদ এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ, রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ, ট্রাক রেস্ট এরিয়া নির্মাণ, আরসিসি কালভার্ট নির্মাণ, বেইলি সেতু স্থাপন এবং ফুটপাত নির্মাণ ।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বারখ্যাত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক । ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার। মহলে। এই মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত চার লেনের হলেও পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫৭ কিলোমিটার অংশ দুই লেনের। এটি এখন চার লেনের করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায় – রাজধানীর সাথে দেশের সব এলাকার উন্নত যোগাযোগ স্থাপনের জাতীয় মহাসড়ক উন্নত করার মহাপরিকল্পনা হিসাবে এই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ককে চার লেনে করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে পদ্মাপাড়ের মানুষের যানজটের দুর্ভোগ লাগবের পাশাপাশি স্বল্পসময়ে আরিচা ঘাটে পৌঁছানোর সুযোগ পাবে।
দক্ষিণের মানুষের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক চার লেনে করার একটি প্রকল্প প্রস্তবনা ।
দ
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে পরিচিত সব মহলে। এই মহাসড়কে রয়েছে ২২ থেকে ২৩টি স্থানে বিপদজ্জনক বাঁক। এসব স্থানে প্রায় দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা কমাতে মহাসড়ক ফোর লেনে রূপান্তরের কাজ চলছে । বাঁকা সড়ক সম্প্রসারণের জন্য হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত কাজ হবে। এতে প্রস্তাবিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাঁকা সড়ক সোজা ও সম্প্রসারিত হয়ে মানিকগঞ্জ থেকে হেমায়েতপুরের দূরত্ব কমবে ১২ কিলোমিটার।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা –আরিচা মহাসড়কটির হেমায়েতপুর, নবীনগর, বাথুলী ও নয়াডিঙ্গি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডিভাইডারসহ ডেডিকেটেড লেন নির্মাণ করা হয়েছে যার ফলে লোকাল ট্রাফিক মহাসড়কের প্রধান যানবাহনের চলার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে না এবং যানজট কম। এ সময় দেখা যায় ঢাকা- আরিচা মহাসড়কে বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় যানজট মুক্ত ও নিরবচ্ছিন্ন যানবাহন চলাচল এর লক্ষে গোলড়া ,বারোবাড়িয়া, উথলী বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলচ্ছে ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়ঃ- অন্যান্য ফোর লেন থেকে এই ৯০ কিলোমিটার মহাসড়ক হবে দৃষ্টিনন্দন। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম গুলো হচ্ছে-৭ লাখ ৬ হাজার ঘন মিটার মাটির কাজ, বিদ্যমান ২ লেন সড়ককে ৪ লেনে উন্নীতকরণ, ১৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার ডেডিকেটেড সার্ভিস লেন নির্মাণ, ৩ দশমিক ২৭ কিলোমিটার মূল সড়ক প্রশস্তকরণ, হার্ডশোল্ডার নির্মাণ, ৭১ দশমিক ২২ কিলোমিটার বিদ্যমান পেভমেন্ট সার্ফেসিং, ৮০টি নিরাপদ এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ, রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ, ট্রাক রেস্ট এরিয়া নির্মাণ, আরসিসি কালভার্ট নির্মাণ, বেইলি সেতু স্থাপন এবং ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে সড়কের কার্পেটিং অংশ অপসারণ করে ১৫০ মিলিমিটার বেইস টাইপ ১ এর ওপরে ৭০ মিলিমিটার বাইন্ডারের ওপর দিয়ে ৫০ মিলিমিটার ওয়্যারিং কোর্স করে সড়ক মজবুত করা হবে।
ফোর লেন সড়কের উভয় পাশে এক মিটার করে থাকবে সফট শোল্ডার। প্রকল্পের আওতায় মানিকগঞ্জে ২ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার বাইপাস হবে। নিরাপদে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য ৩৩ দশমিক ৯১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করে প্রয়োজনীয় রাইট অব ওয়ে বজায় রেখে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এছাড়া, মহাসড়কে থাকবে আধুনিক ট্রাফিক সাইন, সাইন পোস্ট, কংক্রিট পোস্ট ও থার্মোপ্লাস্টিকসহ নান্দনিক সব রোড মার্কিং।
মহাসড়কটি চার লেন হলে কেবল মানিকগঞ্জবাসীই নন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা আরও গতিশীল হবে। মহাসড়টি চার লেনে উন্নীতকরণ হলে এর ওপর চাপ ও যানজট অনেকাংশে হ্রাস পাবে।