প্রতিনিধি ২১ জুন ২০২৩ , ২:৪০:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মো আবুবকর মিল্টন:
পটুয়াখালীর দুমকিতে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে ৫নং শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে (১৮ জুন) ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত আসনের মহিলা ইউপি সদস্য লাকি বেগমের মনোনয়ন ফরম জমা না নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। মনোনয়ন ফরম জমা দিতে লাকি বেগম দুপুর সোয়া ১টায় উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে গেলে লাঞ্চের অযুহাতে তার মনোনয়ন নেয়নি। বিকেল ৪টায় ফের নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে সামনে গেলে সময় শেষ হওয়ার অযুহাতে ওই প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম জমা দিতে অফিসে ঢুকতে দেয়নি নিরাপত্তাকর্মীরা। আর এভাবেই এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় নারী ইউপি সদস্য প্রার্থী লাকি বেগমের মনোনয়ন ফরম গ্রহন করেননি নির্বাচন অফিসার। উপজেলা নির্বাচন অফিসার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্ধারিত সময় অতিক্রম হওয়ায় তার মনোনয়ন ফরম জমা নেয়া হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২০জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রেসক্লাব, দুমকির হলরুমে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ৫নং শ্রীরামপুর ইউপি নির্বাচনে (১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড) সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য প্রার্থী জনৈক জোনাব আলী সিকদারের মেয়ে ও মো: খলিলুর রহমানের স্ত্রী লাকি বেগম এসব অভিযোগ করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন অফিসার উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তার মনোনয়ন ফরম জমা নেয়নি। রবিবার বেলা সোয়া ১টায় মনোনয়ন ফরম জমা দিতে গেলে ওই অফিস গেটের নিরাপত্তাকর্মীরা প্রথমে ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে, মনোনয়ন ফরম হাতে দেখিয়ে অফিসের ভেতরে অন্যান্য প্রার্থীর লোকজনের ভীর ছিল। তাকে আড়াইটার পরে আসতে বলা হয়। একাধিকবার নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দিতে যাওয়ার সিসি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। ফের অফিসে গেলেও বিকেল ৪টা অতিক্রম হওয়ার অযুহাত দেখিয়ে তার মনোনয়ন ফরম জমা নেয়া হয়নি। অনেক অনুনয় বিনয় করলেও তিনি (নির্বাচন অফিসার) কর্নপাত করেননি। ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো: আল-ইমরানকে অবহিত করার পর ইউএনও মহোদয় বিশেষ বিবেচনায় মনোনয়ন ফরমটি জমা নিতে বললেও তিনি (নির্বাচন অফিসার) তা শুনেন নাই। এ বিষয়ে পরের দিন জেলা প্রশাসন, জেলা নির্বাচন অফিসারের স্মরণাপন্ন হলেও মনোনয়ন জমা সংক্রান্ত সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি। আক্ষেপ করে নারী সদস্য প্রার্থী লাকি বেগম তার মনোনয় ফরম দাখিল করতে না দেয়ার জন্য নির্বাচন অফিসার সুমন মিয়াকে দায়ী করে সুবিচার দাবি করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: সুমন মিয়া বলেন, মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পরে আসায় তার (লাকি বেগম) ফরম জমা নেয়া হয়নি। দুপুর সোয়া ১টায় কেন জমা নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোয়া ১টায় লাকি তার অফিসে আসেন নি। বাইরে এসেছিল কিনা আমার জানা নেই।