• চট্টগ্রাম বিভাগ

    দুবাইয়ে পাচার হওয়া পহেলী বাবা-মায়ের কোলে ফিরে আসতে চায়

      প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২৩ , ৮:৩৮:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    জুনায়েদ কামাল-নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    বাবা আবুল কালাম ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সংসারে অভাবের তাড়নায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ঘর ছাড়েন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী পহেলি আক্তার। কিছুদিন পর ঢাকায় গার্মেন্টসের চাকরি পেয়ে বাবা-মাকে জানান। সেখানে দালালের খপ্পরে পড়ে প্রায় সাত মাস আগে দুবাই যায় পহেলি। কিন্তু সেখানে গিয়ে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে পহেলি। দেশে ফিরতে বাড়িতে স্বজনদের ফোন দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। এখন মেয়েকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তার বাবা-মা। পহেলি আক্তার নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্লকিয়া গ্রামের আবুল কালাম ও রহিমা বেগম দম্পতির বড় মেয়ে।

    জানা যায়, অভাবের সংসারে মেয়ের সব শখ পূরণ করতে পারতেন না দিনমজুর বাবা আবুল কালাম ও মা রহিমা বেগম। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিমানে ঘর ছাড়েন মেয়ে পহেলি আক্তার। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি তারা। কিছুদিন পর জানতে পারলেন মেয়ে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছে। তারপর দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের খবর পাননি আবুল কালাম দম্পতি। চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি বিদেশি নাম্বার থেকে বার্তা আসে রহিমা বেগমের মোবাইলে। জানতে পারেন মেয়েকে পাচারকারীরা দুবাই নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করছে। তার মেয়ে পহেলিকে হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে আরও ৩০ জন মেয়ের সঙ্গে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও ধারণ করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে চালানো হচ্ছে নির্যাতনের স্টিমরোল।

    রহিমা বেগম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদকে বলেন, স্বামীর ঘর নেই বর্তমানে থাকি বাবার বাড়িতে। লোক লজ্জায় কাউকে কিছু বলতেও পারছি না। আমি মা হয়ে মেয়ের কষ্ট সহ্য করতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করছি তিনি যেন আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন। আমার আর কোনো চাওয়া নেই।

    আবুল কালাম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদকে বলেন, কান্নার জন্য কথা বলতে পারছিনা। মেয়ে পড়ালেখা করতো ঠিক মতো খরচ দিতে পারতাম না। ইটভাটায় কাজ নিয়ে আমি সেখানে চলে গেছি। বাড়িতে আসি দেখি মেয়ে নাই৷ সব জায়গায় খুজেও মেয়েকে পাই নাই। এখন শুনি মেয়ে দুবাইতে বন্ধি আছে। সেখানে প্রতি ঘণ্টায় মেয়েকে নির্যাতন করতেছে। কলিজা ফেটে যায় বাবা হয়ে কারো কাছে যেতে পারছি না লজ্জায়।

    পহেলি আক্তারের নানী রাশেদা বেগম বলেন, কত কষ্ট করে নাতিন পড়ালেখা করলো। কার ফাঁদে পড়ে সে এখন নির্যাতনের শিকার। আপনারা আমার নাতিনকে এনে দেন। সে বড় কষ্টে আছে তাকে একটু উদ্ধার করে দেন।

    আব্দুল আজিজ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মেয়েটা বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে চলে গেছে। কোথায় গেছে কেউ জানে না। এলাকায় শরমে কাউকে বলতেও পারেনি পরিবার। জানতে পারলাম বিদেশে একটা রুমে আটকে রেখে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন ক্লাবে পাঠিয়েও তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না। দ্রুত মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।

    নোয়াখালী জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক আবু ছালেক বলেন, কোনো এক প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে মেয়েটি দুবাই চলে গেছে। কোনো কোম্পানির ভিসায় গেলে আমরা সহজেই ওই কোম্পানিকে ধরতে পারতাম। কিন্তু সে ভ্রমণ ভিসায় যাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যেহেতু মেয়েটাকে আটকে রাখা হয়েছে এবং সে দেশে ফিরে আসতে চায়। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করবো।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    লেখক ভট্টাচার্যের জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রলীগ নেতা রাজুর খাবার বিতরণ

    নড়াইল লোহাগড়া থানায় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হলো কমিউনিটি পুলিশিং -ডে ২০২১

    কলকাতায় আবারো বিয়ের পিরিতে হিরো আলম

    দেশের ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

    “জীবন” কলমে: প্রণব মন্ডল

    “জীবন” কলমে: প্রণব মন্ডল

    পটুয়াখালীর লোহালীয়া নদীতে ব্রীজের নির্মান কাজ বর্ধিত সময় সম্পন্ন করার তাগিদ। মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ  পটুয়াখালী জেলার লোহালীয়া নদীর উপর নির্মানাধীন ব্রীজের ১৪টি স্প্যান বিশিস্ট ৫৭৬.২৫ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রীজের অসমাপ্ত নির্মান কাজ বর্ধিত সময় ২০২১ সনের জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিস্ট ঠিকাদারকে তাগিদ দিলেন  ২৩ আগস্ট রবিবার সকালে ব্রীজ পরিদর্শনে আসা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠানের সদস্য মোঃ জাকির হোসেন আকন্দ।  এ সময় সচিব জাকির হোসেন আকন্দ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, মহামারি করেনা ও দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার কারনে ব্রীজ নির্মানের  নির্ধারিত সময় ডিসেম্বর মাসে কাজ সম্পন্ন করার সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করেনা ও ঝড়, বৃষ্টির কারনে ব্রীজের কাজ ব্যহত হয়। এ কারনে ব্রীজ নির্মানের কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স নবারুন ট্রেডার্স এন্ড আবুল কালাম আজাদ (JV) কে বলা হয়েছে।  এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক মোল্লা মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) জি এম সরফরাজ, এলজিইডি পটুয়াখালীর নিরবাহী প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সত্তার, সিনিয়ার সহকারী প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ মন্ডল, উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামাল হোসেন, উপ সহকারী প্রকৌশলী  মোঃ মইনুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে সচিব মোঃ জাকির হোসেন আকন্দ মুজিব জন্ম শত বর্ষ উপলক্ষে এলজিইডি কার্যালয়ের সামনে বকুল ফুল গাছের চারা রোওন করেন।  প্রকাশ উক্ত ব্রীজটি নির্মানে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা, চুক্তি মূল্য ৪৭.১৯ কোটি টাকা। এ ব্রীজটি নির্মান হলে জেলার বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা ও ভোলা জেলার সাথে যেগাযোগে সহজ হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে হাজার হাজার মানুষ।এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় জনসাধারণ।