প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২২ , ২:৫০:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মারপিট ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় নির্বাচিত ইউপি সদস্য বাদীর চাচা ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন করার হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার(২৫ জানুয়ারী) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর কামারগাঁও এলাকায় এ হুমকির ঘটনা ঘটে। এব্যাপার ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইউপি সদস্য মোঃ নুরুল আমিন মোড়লসহ ৫জনকে বিবাদী করে শ্রীনগর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। যার নং-৯৮৯ তাং-২৫/০১/২০২২ ইং।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার পিতা মৃত আবুল হোসেন ঐতিহাসিক আগরতলা যড়যন্ত্র মামলার বৈরী সাক্ষী। তার একই এলাকার মৃত জমির মোড়লের ছেলে মোঃ নুরুল আমিন মোড়ল গেল ২০২১ সালে দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার নির্বাচিত হয়ে ভুক্তভোগীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করতে বাধা প্রদানসহ পরিবারকে নানাভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছিল। গত ২৩ জানুয়ারী সন্ধ্যার দিকের মেম্বার নুরুল আমিন মোড়লসহ তার লোকজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর মোটর সাইকেল ভাংচুর করে এবং ভাজিতা আজিবুরসহ কয়েকজনকে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। আহত ভাতিজা চিকিৎসা নিয়ে মেম্বার নুরুল আমিন মোড়লসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেন। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নিজ বাড়ী হইতে ষোলঘর হাসপাতালে ভাতিজা আজিবরকে দেখার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে পথিমধ্যে মেম্বার নুরুল আমিন তার লোক বারেক মোড়লের ছেলে বিপুল মোড়ল(৩০), মৃত এছাহাক মোড়লের ছেলে বারেক মোড়ল(৬৫), জহির মোড়লের ছেলে রাফি মোড়ল(২২ হায়দার মোড়লের ছেলে রায়হান মোড়ল(২৪)গণ উক্ত এই শত্রæার জের ধরে ভুক্তভোগী পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ভাজিতার করা অভিযোগ প্রত্যহার করে নেওয়ার জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করায় মেম্বারসহ সকলেই তাকে মারপিট করতে আসে। কিন্তু মারপিট করতে না পেরে সে মেম্বার থাকাকালীন সময় ভুক্তভোগী এলাকায় কোন ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারবে না! করলে তাকেসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল আমিন মোড়লের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার হাতে কোন অস্ত্র দেখছে। আমিতো মারামারি করি নাই। এমন সিসি টিভি ফুটেজ আমার কাছে আছে আপনার কাছে পাঠিয়ে দিব।
শ্রীনগর থানার ডিউটি অফিসার এস,আই আব্দুল করিম বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় সাধারন ডায়রী হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।