• রাজশাহী বিভাগ

    তাড়াশে এমপির নিজ কেন্দ্রেও হারলো নৌকা

      প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২২ , ১:০১:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলংগা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের এমপি ডাঃ আব্দুল আজিজ সরকারের নিজ এলাকা তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের মাকড়শোন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং এ ইউনিয়নেও হেরেছে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী। পাশাপাশি এ উপজেলার ৪টি ইউপির মধ্যে দুটিতে বিদ্রোহীরা জিতেছেন। পরাজয়ের কারন হিসাবে দলীয় কোন্দল এবং প্রার্থী বাছাইয়ে ভূল ছিল বলে দাবী করা হচ্ছে।

    পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে বুধবার দুপুরে এমপি আব্দুল আজিজ সরকার নিজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন। দুটি ইউপিতে পরাজয়ের কারন হিসাবে তিনি বলেন, মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। দলের মধ্যে বিভক্তিই পরাজয়ের প্রধান কারণ। এমপি হিসাবে নির্বাচনী কাজে অংশ নেয়া যায় না, বিধায় বিরোধীতাকারীদের বোঝাতে পারি নাই। যে কারনে নৌকার প্রার্থীরা হেরেছে। দল সঠিক প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিয়েছিল, কিন্তু আমরা প্রার্থীর পক্ষে জনমত গড়তে ব্যর্থ হয়েছি।

    নিজ কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী পরাজয়ের কারণ হিসাবে এমপি আজিজ বলেন, এ কেন্দ্রটি চরাঞ্চল এবং বিলাঞ্চলের ভোটার অধ্যুষিত। বিদ্রোহী প্রার্থী বিলাঞ্চলের বসতি, আর নৌকার প্রার্থী চরাঞ্চলের। কেন্দ্রের অবস্থানও বিলাঞ্চলে। এখানে চরের ভোটার বিলাঞ্চলে ভোট দেয় না, আর বিলাঞ্চলের ভোটার চরের মানুষকে ভোট দেয় না, এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। এবারের ফলাফলেও তাই হয়েছে।

    সগুনা ইউনিয়নে মোট ৫জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। সবাই আওয়ামীলীগের সমর্থক। দলীয় পদ না থাকায় ৩জনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়নি। আর বিজয়ী প্রার্থী জুলফিকার আলী ভূট্ট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক থাকা অবস্থায় দলের কাছে মনোনয়ন দাবী করেন। না পেয়ে দলীয় পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি।

    এমপির নিজ কেন্দ্র মাকড়শোন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতিকে প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৩০ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতিকের জুলফিকার আলী ভূট্ট পান ৭৩৫ ভোট। এ ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা ৩টি এবং আনারস প্রতিক ৪টিতে প্রথম হয়েছে।

    এ ইউনিয়নের রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার আখতারুজ্জামান স্বাক্ষরিত নির্বাচনী ফলাফলে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতিকের জুলফিকার আলী ভূট্ট ৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি নৌকা প্রতিকের নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৩ ভোট। এছাড়াও বাকি ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান টি,এম আব্দুল্লাহিল বাকী মোটরসাইকেল প্রতিকে ৮৮২, চমশা প্রতিকে আব্দুল হালিম মন্ডল ৩ হাজার ১৩৬ এবং ঘোড়া প্রতিকে সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৬২৫ ভোট।

    এ উপজেলার বাকি ৩টি ইউপির মধ্যে দেশীগ্রাম ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক (আনারস) নৌকার প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুসকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনিও দল থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এছাড়াও মাগুড়াবিনোদ ইউপিতে মেহেদী হাসান ম্যাগনেট এবং তালম ইউপিতে আব্দুল খালেক নৌকা প্রতিকে বিজয়

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ