প্রতিনিধি ৩০ নভেম্বর ২০২১ , ৩:৫০:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোর পৌরভবন আওয়ামী লীগবিরোধী এবং এমপি ঠেকাও ষড়যন্ত্রের প্রাসাদ ও নিরাপদ আশ্রয় স্থল বা আস্থানায়
পরিণত হবার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছে, মেয়রের নেপথ্যে মদদে পৌরভবন থেকেই আওয়ামী লীগ ও এমপিবিরোধী সকল পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের তানোরে বসার তেমন কোনে স্থান নাই, মেয়রের মদদে তারা তানোর পৌরভবনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে নৌকাবিরোধী যতো অপকর্ম করা হয় এবং যারা করেন তারা পৌরভবনে তাদের নিরাপদ আস্থানা গড়ে তুলেছে।
তৃণমুলের অভিমত, উপজেলা আওয়ামী লীগের (দায়িত্বহীন) সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুস সালাম, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান,কামারগাঁ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মসলেম উদ্দিন প্রমুখ। তারা একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে নৌকাবিরোধী কর্মকান্ড করছে। আর এসব ষড়যন্ত্রকারীদের নিরাপদ আশ্রয় স্থল তানোর পৌরসভা কার্যালয় বলে মনে করছে পৌরবাসী। সম্প্রতি, গত ১ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলা অডিটোরিয়ামে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা ও জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণের জন্য বিশেষ বর্ধিত সভা আয়োজন করা হয়।
এদিন জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে শান্তিপুর্ণ পরিবেশে বর্ধিত সভার কার্যক্রম চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় তানোর পৌরসভা থেকে সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের নেতৃত্বে জঙ্গী স্টাইলে একটি ঝটিকা মিছিল সভা স্থলে প্রবেশ করে জেলা নেতৃবৃন্দের ওপর চড়াও হয় ও ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠি চার্জের ঘোষণা দিলে আক্রমন কারীরা দৌড়ে পালাতে গিয়ে মামুনসহ তাদের বেশ কয়েক জন আহত হয়।
পরে প্রতিবাদ সভার নামে পৌরভবনে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্যে করে রাব্বানী-মামুন আপত্তিকর বক্তব্য রাখে। এমনকি বিভিন্ন কর্মসুচির নামে নেতাকর্মীদের নিয়ে এসে পৌরভবনে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের গীবত করা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।স্থানীয়রা এই ষড়যন্ত্রের প্রাসাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পৌরভবনে যে কেউ আসতে পারেন এতে কোনো দোষ দেখছি না।