প্রতিনিধি ২১ জানুয়ারি ২০২২ , ৮:২৯:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
রাজশাহী তানোর থানার বর্তমান অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ রাকিবুল হাসান রাকিব প্রথমে তানোর থানার তদন্ত ওসি হিসাবে যোগ দেন।পরে তার কাজের সফলতায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পদোন্নতি হয়। আর অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হিসাবে তানোর থানায় যোগদানের পর পুলিশের সেবা জনগনের দৌড়গোড়ায় নিয়ে গেছেন। এতে করে জনগন হয়রানী থেকে মুক্ত হয়েছেন। সেবার মান আরও বাড়াতে নিরর্লস ভাবে কাজ করছেন। সাধারণ মানুষ তার কাছে এসে সরাসরি তাদের অভিযোগ বলতে পেরে সস্তি প্রকাশ করছেন।
অফিসার ইনচার্জ(ওসি)রাকিবুল হাসান যোগদানের পরে এলাকার আইন শৃঙখলা ঠিক রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। তানোর থানার এরিয়ার মধ্যে ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গি তৎপরতা, মাদক, জুয়া, চুরি ও ডাকাতির পরিমাণ কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে এলাকায় অপরাধের সংখ্যাও।বিশ্বাস্ত সূত্রে জানা যায়, তানোর অবনতিশীল আইনশৃংপর থেকেই পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। ‘‘পুলিশি জনতা, জনতায় পুলিশ’’। জনগনের প্রকৃত বন্ধু যে পুলিশ সেটা তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তানোর উপজেলায় (ওসি)রাকিবুল হাসানের চৌকুশ তৎপরতায় উপজেলা জুড়ে অপরাধ কমিয়ে প্রায় শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠাবান তৎপরতায় জনমনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। তবে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দাবী তুলেছেন শুসীল সমাজ।তিনি দায়িত্ব নেবার পর গোটা উপজেলায় পুলিশের টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, ধর্ষণের আসামি, চোর ডাকাতসহ বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষমতা দেখিয়েছেন ও অভিযান চলমান রেখেছেন।
এছাড়াও উপজেলা সদর-সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পুলিশের নিয়মিত টহলে কমেছে ছিন্নমূল অপরাধী ওসির এহেন তৎপরতায় খুশী তানোর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ
স্বস্তিতে আছেন জনসাধারণ। এ উপজেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে এরই মধ্যে তিনি ৭টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় সাংবাদিক, কমিউনিটি পুলিশি এবং গ্রাম পুলিশদের নিয়ে মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গি তৎপরতা, চুরি ডাকাতি বন্ধে সভা সমাবেশ করেছেন।
তাঁর নেতৃত্বেই প্রতিরাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে এলাকার দাগী চোর, ডাকাত এবং মাদককারবারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। এলাকায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদের নিয়ে সন্ত্রাস নকশকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক সভা ও ধারাবাহিক মানব বন্ধনে সার্বিক সহযোগীতা করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে সচল রেখেছেন।
তানোর পৌরসভা সহ উপজেলার বিশেষ বিশেষ পয়েন্টে নজরদারি ও অভিযানের কারণে ইদানিং সেসব স্থানে কমে গেছে মাদককারবারী ও সেবীদের আনাগোনা। স্কুল কলেজের ছাত্রীদের আসা যাওয়ার পথে পুলিশের পর্যাপ্ত টহলের কারণে কমেছে ইভটিজিং বা মেয়েদের উত্ত্যক্তের ঘটনা। কমেছে বখাটেদের উৎপাত।
তানোর থানায় সেবা নিতে আসা এক স্কুল শিক্ষক বলেন, থানায় জিডি বা অভিযোগ দিতে গিয়ে এখন আর আগের মতো হয়রানির শিকার হতে হয়না। (ওসি) রাকিবুল হাসান তিনি নিজেই সকলের অভিযোগ শুনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেন এবং কোন দুর্ঘটনার খবর পেলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান । ওসি’র ব্যাপক তৎপরতায় উপজেলায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে বলে তিনি দাবি করেন।
ওসির বন্ধুসুলভ আচরণে থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি- রাকিবুল হাসান বলেন:পুলিশের তৎপরতায় এখন এলাকায় মাদকের নির্দিষ্ট কোন আস্তানা নেই।পুলিশের নিয়মিত টহলের কারণে অপরাধ অনেক কমে গেছে। পুলিশের পাশাপাশি তানোরে অপরাধ কমানোর কৃতিত্বের অংশীদার জনগণ, রাজনৈতিক নেতা এবং জন-প্রতিনিধিরাও বলে তিনি দাবি করেন।
জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, এ থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত একটি আদর্শ মডেল থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।উল্লেখ্য যে মকরোনাভাইরাসে বিশ্ব-সহ পুরো দেশ যখন লকডাউনে তখনইস্থানীয় হাজারো অসহায় পরিবারের মাঝে ওসি রাকিবুল নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও সচেতন মূলক মাস্ক সহ নানা দিক নির্দেশনা দেওয়া চলমান রেখেছেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান।