• আমার দেশ

    তানোর গোল্লাপাড়া বাজারের সরকারি দোকান ঘর কেনা-বেচার ধুম,নীরব প্রশাসন!

      প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২১ , ২:০০:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    তানোর গোল্লাপাড়া বাজারের সরকারি দোকান ঘর কেনা-বেচার ধুম,নীরব প্রশাসন!

    সোহেল রানা (রাজশাহী) তানোর, প্রতিনিধি :

    রাজশাহীর তানোর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গোল্লাপাড়া হাটে নির্মানকৃত সরকারি জায়গার মার্কেট ঘর নিয়ে চলছে রমরমা বানিজ্য। এতে জনমনে নেতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকা পালন করা নিয়ে। জানা গেছে, গোল্লাপাড়া বাজারে লাখ লাখ টাকায় সরকারি মার্কেটের দোকান ঘর কেনা-বেচা চলছে। অথচ বাজারের প্রকৃত অসহায় দরিদ্র ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে ব্যবসা বানিজ্য করে আসলেও তাদের কোন ঘর বরাদ্দ দেয়নি। আর যাদেরকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের কেউ ব্যবসা করেন না।

    তারা অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের নামে ঘর বরাদ্দ নিয়ে কেউ বিক্রি করে খাচ্ছেন আবার কেউ ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। ফলে, বাজারের প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সরকারি ঘর বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় তাদের এখনো খোলা আকাশের নিচে দোকান মেলে ব্যবসা করতে হচ্ছে। গোল্লাপাড়া বাজারের দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে ব্যবসা বানিজ্য করে আশা সরকারি ঘর বঞ্চিত ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোন রকম ব্যাড়া টীন দিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাজারের জায়গায় দোকান করে আসছি,এতে প্রায় দিন প্রশাসনের লোক এসে আমাদের দোকান অপসারণ করে হুমকি ধামকি দেয়।

    এমনকি মাঝে মধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে করা হয় জেল জরিমানা। আমরা সারাদিন দোকান করে কয় টাকা লাভ করি, যদি এভাবে আমাদের জরিমানা করে তাহলে পরিবার পরিজন নিয়ে কি ভাবে চলবো। সরকার থেকে ব্যবসায়ীদের ঘর করে দেয়া হলেও আমাদের মত প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কোন ঘর বরাদ্দ না দিয়ে যারা ব্যবসা দোকান করে না তাদেরকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যাদেরকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তারা কেউ দোকানে ব্যবসা করে না। তাদের মধ্যে কেউ ঘর ৫/৬লাখ করে টাকা নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে আবার কেউ ঘর ভাড়া দিয়ে রেখেছে। অথচ আমাদের কে কোন ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

    ঘর বরাদ্দ নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অবেদন করেও আমাদের কোন ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়নি। বরং উল্টো আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়। তানোর গোল্লাপাড়া বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি সারোয়ার জাহানের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, এসব বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে মানুষের মুখে শোনা যাচ্ছে দোকান ঘর নাকি কেনা-বেচা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহতোর সাথে (০১৭৭-৮৮৮৯৯৯০)নম্বরে একাধিকবার ফোন দিয়ে ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সাহেবের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন খোলা আকাশের নিচে দোকান করে আশা সরকারি ঘর বঞ্চিত ব্যবসায়ীরা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ